English Version
আপডেট : ২০ এপ্রিল, ২০১৬ ১৮:১৬

‘বুথ ডাকাতি করে নির্বিঘ্নে যাওয়া যাবে’

অনলাইন ডেস্ক
‘বুথ ডাকাতি করে নির্বিঘ্নে যাওয়া যাবে’

বুথে টাকা রিফিলের সময় বড় ধরনের কোনো আঘাত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। নির্বিঘ্নেই টাকা নিয়ে চলে যেতে পারবে এমন গ্রীন সিগন্যালে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের বুথ ডাকাতির সিদ্ধান্ত নেয় ডাকাত দল।

গত ২ মার্চ রাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার হরিণহাটি এলাকার ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ১০ জনকে বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করেছে র‌্যাব।

এ সময় তাদের কাছ থেকেদুটি বিদেশি পিস্তল, গুলি ও দেশীয় অস্ত্রসহ ব্যাংক ডাকাতির ৯ লাখ ৪ হাজার ৮৪৫ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

আটকরা হলো— মো. হাবীব (৩২), শাহাদাত (২৪), ইসমাইল (২৮), শহীদুল ইসলাম (৩৬), ফরিদ (৩৩), দেলোয়ার (২৮), ইব্রাহিম (২৩), নজরুল ইসলাম (২৩), আলমগীর হোসেন (৪৯) ও হাসান মীর (৩৪)।

বুধবার র‌্যাব সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডাকাতির টাকা শহীদকে হস্তান্তর করতে এলে জয়দেবপুর জমির উদ্দিন মার্কেটের সামনে থেকে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে রুবেলসহ তিনজনকে আটক করা হয়। এরপর তাদের দেওয়া তথ্য মতে, ময়মনসিংহ থেকে ১ জন ও উত্তরা থেকে ৬ জনকে আটক করা হয়।

ডাকাতির বিবরণ দিতে গিয়ে মুফতি মাহমুদ বলেন, ‘ডাকাতির মূল পরিকল্পনাকারী মো. হাবীব তার সহযোগী মিন্টুর সঙ্গে কয়েক মাস ধরে এটিএম বুথ ডাকাতির বিষয়ে আলোচনা করে। এরপর ঘটনার পূর্বে দীর্ঘ এক মাস ধরে বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথে টাকা রিফিল করার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে এবং রিফিলের সময় সিকিউরিটির লোকজন কোথায় কীভাবে থাকে পর্যবেক্ষণ করে। সবকিছু দেখার পর গভীর রাতে বুথে টাকা রিফিলের সময়ই ডাকাতি করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয় তারা।’

ঘটনার চার দিন আগেই ডাকাতির সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মিন্টু সবাইকে আশ্বস্ত করে যে, বুথে টাকা রিফিলের সময় বড় ধরনের কোনো আঘাত বা গোলাগুলি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সবাই নির্বিঘ্নে টাকা নিয়ে চলে যেতে পারবে।’