English Version
আপডেট : ১৫ এপ্রিল, ২০১৬ ১৪:০৩

ট্যানারি সরাতে আবারও সময়সীমা

অনলাইন ডেস্ক
ট্যানারি সরাতে আবারও সময়সীমা

নানা চেষ্টার পরও সরকার হাজারীবাগ থেকে ট্যানারিগুলো সাভারের চামড়া শিল্প নগরীতে পাঠাতে পারছে না। এ অবস্থায় আবারও ফের চেষ্টা সরকারের। এ জন্য কয়েক দফা সময় দেবার পরও আারও সময় বেধে দিল।

 বুধবার ( ১৩ এপ্রিল) ট্যানারি শিল্প মালিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে হাজারীবাগ থেকে কারখানা সাভারের চামড়া শিল্প নগরীতে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি শেষ করতে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে এসেও চার দফা সময় বাড়ানো হলো।

বৈঠক শেষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোশারফ হোসেন ভূইয়া সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত হাজারীবাগে কাঁচা চামড়া ঢুকবে কি-না তা স্পষ্ট করেননি সচিব। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ট্যানারি সরিয়ে নিতে প্রথমে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন। এরপর ১ এপ্রিল থেকে হাজারীবাগে কাঁচা চামড়া প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। বসানো হয় পুলিশ পাহারা। ৩ এপ্রিল নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়। সর্বশেষ গতকাল ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রস্তুতি শেষ করার সময় দেওয়া হলো।

এ ছাড়া ট্যানারি মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নিয়ম ও জমির দামে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সিনিয়র সচিব সাংবাদিকদের বলেন, আমরা কারখানাগুলো সাভারে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি বা প্রক্রিয়া শেষ করতে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিয়েছি। ৩০ এপ্রিলের মধ্যে কেউ তা না করতে পারলে অবশ্যই তাকে ব্যবসা সাময়িক বন্ধ রাখতে হবে। যখন ওই কোম্পানি প্রক্রিয়া শেষ করবে তখন ব্যবসা শুরু করবে।

এ সময়ে হাজারীবাগে কাঁচা চামড়া ঢুকবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, আমরা ঠিক বলছি না কাঁচা চামড়া ঢুকবে। ট্যানারি মালিকরা কিছু সময় দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। আমরা তাতে সম্মত হয়নি। কিন্তু যাওয়ার প্রক্রিয়া শেষ করতে তো সময় দিতেই হবে। বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ মহিন বলেন, কারখানা সরানো বিশাল কর্মযজ্ঞ। এক সপ্তাহে শেষ হওয়ার নয়। প্রথমে ওয়েট ব্লু পার্টটা নিয়ে যেতে চান তারা। এপ্রিল শেষে সরকারের সঙ্গে আবার বসবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আর্থিক সীমাবদ্ধতা আছে। আবার রফতানি ধরে রাখতে হবে। বর্তমান মজুদ থেকে পণ্য তৈরি করে তারা ক্রেতা ধরে রাখছেন।