English Version
আপডেট : ১০ এপ্রিল, ২০১৬ ১৭:৪৯

বসুন্ধরার সহযোগিতায় বিশ্বখ্যাত কাবাব তৈরির চেইন শপ ‘কাবাব তুর্কি’

নিজস্ব প্রতিবেদক
বসুন্ধরার সহযোগিতায় বিশ্বখ্যাত কাবাব তৈরির চেইন শপ ‘কাবাব তুর্কি’

দেশের শীর্ষস্থানীয় বৃহৎ শিল্প গোষ্ঠী বসুন্ধরার সহযোগিতায় এবার বাংলাদেশে আউটলেট খুলছে বিশ্বখ্যাত কাবাব তৈরির চেইন শপ ‘কাবাব তুর্কি’। প্রাথমিকভাবে ঢাকাতেই ১০টি আউটলেট খোলার পরিকল্পনা করছে ইন্দোনেশিয়ান এই কাবার কম্পানি। গতকাল শনিবার রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের ডেইলি সান পত্রিকার কনফারেন্স রুমে এ উপলক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উদ্যোক্তরা এসব তথ্য জানান। অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাফওয়ান সোবহান এবং ইন্দোনেশিয়ার বাবা রাফি গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হেন্দি সেতিয়োনো নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।    অনুষ্ঠানে উদ্যেক্তারা জানান, ঢাকার বনানী, গুলশান, ধানমণ্ডি, বেইলি রোড, বসুন্ধরা সিটি, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা সংলগ্ন পূর্বাচল ৩০০ ফুট মহাসড়ক এলাকাসহ রাজধানীর ১০টি অভিজাত এলাকায় কাবাব তুর্কির আউটলেট খোলা হবে। সম্পূর্ণ হালাল এই কাবাবের আউটলেটগুলো ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। অনুষ্ঠানে সেতিয়োনো বলেন, ১৯৯০ সালে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে তাঁরা প্রথম কাবাবের ব্যবসা শুরু করেন।

এরপর ২০০৩ সালে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় আউটলেটের যাত্রা শুরু করেন। এরপর একে একে আন্তর্জাতিক একটি কাবাব কম্পানির আউটলেটে পরিণত হয় বাবা রাফি গ্রুপের কাবাব তুর্কি। সেতিয়োনো আরো বলেন, বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাঁদের প্রায় এক হাজার ২০০ আউটলেট রয়েছে। মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ব্রুনেই, শ্রীলঙ্কা, চীন, নেদারল্যান্ডসসহ আরো কয়েকটি দেশে শাখা রয়েছে কাবাব তুর্কির। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের বৃহৎ শিল্প গোষ্ঠী বসুন্ধরার সহযোগিতায় বাংলাদেশেও যাত্রা করছে তাঁদের প্রতিষ্ঠান। তাঁদের প্রত্যাশা, বাংলাদেশের মতো জনবহুল এই দেশে কাবাব তুর্কি মানুষের মন কাড়বে। এ ছাড়া এই খাতে প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থানও তৈরি হবে। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ছিলেন কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, উপদেষ্টা সম্পাদক অমিত হাবিব, বসুন্ধরা গ্রুপের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা (গবেষণা ও উন্নয়ন) এ আর রশিদী, ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের উপদেষ্টা আবু তৈয়ব, বাবা রাফির আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাপক পোয়েট্রো লিগাদ ওয়ান্দরিরোসহ উভয় গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।