English Version
আপডেট : ৬ এপ্রিল, ২০১৬ ১৫:০৫

এডিপির আকার ৯৪ হাজার কোটি টাকা

এমএজামান
এডিপির আকার ৯৪ হাজার কোটি টাকা

 

চলতি অর্থবছরে মূল এডিপির আকার ৯৩ হাজার ৮৯৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা করা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেয়েছে পরিবহন খাত। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বিদ্যুৎ খাত।

মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠকে এটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও এনইসি চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, চাহিদা থাকলেও আমরা সে অনুযায়ী বরাদ্দ দিতে পারিনি। তারপরও বাস্তবতার প্রেক্ষিতে বরাদ্দ দিয়েছি।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, চলতি অর্থবছরে মূল এডিপির আকার ১ লাখ ৯৯৭ হাজার কোটি টাকা ছিল। সেখান থেকে ৯৩ হাজার ৮৯৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৬৪ হাজার ৭৩৪ কোটি ৬৮ লাখ। এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ২৯ হাজার ১৬০ কোটি টাকা।

যদিও অর্থ বিভাগ থেকে সংশোধিত এডিপির আকার দেওয়া হয়েছিল ৮৮ হাজার কোটি টাকা।

সংশোধিত এডিপিতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে পরিবহন খাত। পরিবহন খাতে সংশোধিত এডিপির ১৯ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার প্রস্তাব করা হচ্ছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে বিদ্যুত খাত। মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, ঘোড়াশালের দুটি ইউনিটের রিপাওয়ারিং, পল্লীবিদ্যুতের ১৫ লাখ গ্রাহককে সংযোগ প্রদানসহ বড় কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়নে এ খাতে ১৫ হাজার ৩০০ কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগ।

তৃতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে শিক্ষা ও ধর্ম খাত। শিক্ষার প্রসার ও গুণগত মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ খাতে নয় হাজার ৮৮২ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হচ্ছে।

পরিকল্পনা কমিশনের প্রস্তবিত খসড়া অনুযায়ী, ভৌত পরিকল্পনা, পানি সরবরাহ ও গৃহায়ণ খাতে সাড়ে নয় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। গ্রামীণ অর্থনীতিতে গতিশীলতা আনা ও অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে পল্লী উন্নয়ন ও পল্লী প্রতিষ্ঠান খাতে ৮ হাজার ২১০ কোটি টাকা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য, পুষ্টি, জনসংখ্যা ও পরিবার কল্যাণ খাতে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা এবং কৃষি খাতে ৪ হাজার ৩৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছে পরিকল্পনা কমিশন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব তারিকুল-উল-ইসলাম, আইএমইডির সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এবং তথ্য ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কানিজ ফাতেমা।