English Version
আপডেট : ৩১ মার্চ, ২০১৬ ১৬:২২

রিজার্ভ চুরি: ৩৪ মিলিয়ন ডলার অর্থ উদ্ধার সম্ভব: তেম্পর

অনলাইন ডেস্ক
রিজার্ভ চুরি: ৩৪ মিলিয়ন ডলার অর্থ উদ্ধার সম্ভব: তেম্পর

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়া ৮১ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে ৩৪ মিলিয়ন ডলার অর্থ উদ্ধার করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন ফিলিপাইনের সিনেট প্রেসিডেন্ট প্রো তেম্পর রালফ রেক্টো।

বুধবার স্থানীয় একটি রেডিওতে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি এ কথা বলেন। খবর- ইনকোয়ারারের।

সাক্ষাতকারে প্রো তেম্পর বলেন, ব্লু রিবন কমিটির ২৯ মার্চ যে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে তাতে স্পষ্ট এখনও চুরি হওয়া সব অর্থ জুয়ার মাধ্যমে পাচার হয়ে যায়নি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি ত্বরিত গতিতে অভিযান চালায় তাহলে ৩৪ মিলিয়ন ডলার অর্থ উদ্ধার সম্ভব।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি ফেডারেল রিজার্ভ নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ১০১ মিলিয়ন ডলার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে চুরি হয়ে যায়। এরমধ্যে ৮১ মিলিয়ন ডলার ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের মাকাতি সিটির জুপিটার স্ট্রিটের ৪টি অ্যাকাউন্টে জমা হয়। বাকি ২০ মিলিয়ন শ্রীলংকার একটি এনজিওর অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে। শ্রীলংকায় জমা হওয়া অর্থ ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক পেয়েছে বলে দাবি করেছে।

কিন্তু ফিলিপাইনে যাওয়া ৮১ মিলিয়ন অর্থ এখনও ফেরত পাওয়া যায়নি। অর্থ চুরির বিষয়ে সিনেট ব্লু রিবন কমিটি তদন্ত করছে। ২৯ মার্চ তদন্ত কমিটির শুনানিতে অংশ নেন কিম অং নামে এক ব্যবসায়ী। ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলার সহায়তাসহ রিজার্ভ চুরিতে তাকে অন্যতম হোতা বলে মনে করা হচ্ছে।

এদিকে কিভাবে ৩৪ মিলিয়ন ডলার উদ্ধার করতে পারে তারও একটি হিসাব দিয়েছেন সিনেট প্রেসিডেন্ট। ২৯ মর্চের শুনানিতে কিম অংয়ের দেওয়া বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে রেক্টো বলেন, ১৭ মিলিয়ন ডলার এখনও ফিলরেম সার্ভিস করপোরেশনের নিকট রয়েছে। রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশন থেকে স্থানান্তরিত হওয়া অর্থ এ রেমিটেন্স কোম্পানিটি বিভিন্ন ব্যক্তি ও বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছে। অবশ্য ফিলরেম করপোরেশন এটি প্রত্যাখ্যান করেছে।

এছাড়া ১০ মিলিয়ন ডলার ফিলরেম করপোরেশন থেকে কিম অংয়ের মালিকানাধীন হাওয়াই লেইজার কোম্পানির অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে। কিম অং তার বন্ধু গাও-কে এ অর্থ ঋণ হিসাবে ধার দিয়েছিল। আর গাও চুরি যাওয়া অর্থ থেকে কিম অংয়ের ঋণ পরিশোধ করেছে।

বাকি অর্থের মধ্যে ৪.৬৩ মিলিয়ন ডলার কিম অং ফিলরেম হাউসের মিশেল বাউতিস্তা থেকে পেয়েছেন আর ৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার তিনি মাইডাস নামে জুয়ার আসরে পাঠিয়েছেন। এছাড়া ২.৩৬২ ডলার সোলাইয়ার ক্যাসিনোর নামে থাকা অ্যাকাউন্টে রয়েছে। রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়া অর্থের সঙ্গে যোগ থাকায় এ অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৩৪ মিলিয়ন ডলার অর্থ উদ্ধার করা সম্ভব বলে মনে করছেন তিনি।