English Version
আপডেট : ৩০ মার্চ, ২০১৬ ১৬:৩৩

জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৭ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৭ শতাংশ

চলতি অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি দাঁড়াবে ৬.৭ শতাংশ। এবং আগামী ২০১৭ সালে হবে ৬.৯ শতাংশ। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এডিবি কার্যালয়ে এমনিই পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বুধবার ইকোনমিক আউটলুকে এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়।

আউটলুকে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি, রফতানি বৃদ্ধি, রেমিটেন্স বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগ বাড়ার ফলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়বে।

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বেশ কিছু পলিসি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এগুলো হচ্ছে নির্দিষ্ট সময়ে ভ্যাট আইনের প্রয়োগ, জমি রেকর্ড এবং ভূমি ব্যবস্থাপনার ডিজিটাল করা, রফতানিবাধা দূর করা, তেল ও বিদ্যুতের সঠিক ব্যবহার, এডিপি বাস্তবায়ন সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা ফেরাতে সংস্কার করা।

প্রবৃদ্ধি সামান্য বাড়বে কারণ হচ্ছে, পোশাক খাতের রফতানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সার্বিক রফতানি বাড়বে, সরকারি পে-স্কেল বাস্তবায়িত হওয়ায় এবং রেমিটেন্স বাড়ায় বেসরকারী ভোগ বাড়বে।

খাত ভিত্তিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে কৃষিখাতে প্রবৃদ্ধি সামান্য কমবে। অর্থাৎ এ খাতে প্রবৃদ্ধি দাঁড়াবে ৩.২ শতাংশ, যা ২০১৫ অর্থবছরে ছিল ৩.৩ শতাংশ।

শিল্পখাতে সামান্য প্রবৃদ্ধি বাড়বে। এ খাতে প্রবৃদ্ধি দাঁড়াবে ৯.৪ শতাংশ, যা অর্থবছর ২০১ তে ছিল ৯.৭ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে তৈরি পোশাকখাত ম্যানুফ্যাকচারিং, অভ্যন্তরিণ বাজার এবং নির্মাণ শিল্প বেশ ভূমিকা রাখবে।

সেবাখাতে প্রবৃদ্ধি সামান্য বাড়বে। এটি দাঁড়াবে ৫.৯ শতাংশে, যা অর্থবছর ২০১ তে ছিল ৫.৮ শতাংশ। এক্ষেত্রে শিল্পের প্রসার, পর্যটন, টেলিযোগাযোগ,স্বাস্থ্য, শিল্প এবং প্রযুক্তিখাত ভাল ভূমিকা রাখবে।

চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়াবে ৬.২ শতাংশে, যা অর্থবছর ২০১৫ তে ৬.৪ শতাংশ রয়েছে।

এডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর কাজুহিকো হিগুচি। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউট লুক-২০১৬ উপস্থাপন করেন এডিবির প্রিন্সিপাল কান্ট্রি স্পেশালিস্ট মোহাম্মদ পারভেজ এমদাদ।