English Version
আপডেট : ৩০ মার্চ, ২০১৬ ০০:০৫
রিজার্ভ চুরি

ফিলিপাইনে এখনো গচ্ছিত আছে দুই কোটি ৩৯ লাখ ডলার

অনলাইন ডেস্ক
ফিলিপাইনে এখনো গচ্ছিত আছে দুই কোটি ৩৯ লাখ ডলার
বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থচুরির ‘মূল হোতা’ বলে পরিচিত কিম ওং

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে সঞ্চিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি যাওয়া অর্থের প্রায় দুই কোটি ৩৯ লাখ ডলার এখনো ফিলিপাইনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গচ্ছিত আছে। এর মধ্যে এক কোটি ৭০ লাখ ডলার ফিলিপাইন রেমিটেন্স বা ফিলরেমের কাছে আছে। বাকি ৬৯ লাখ ডলার আছে স্থানীয় দুটি ক্যাসিনোতে। 

মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) ফিলিপাইনের সিনেটের শুনানিতে ‘মূল হোতা’ বলে পরিচিত কিম ওং এ দাবি করেন।

ফিলিপাইনের সংবাদমাধ্যম এবিএস সিবিএন নিউজ জানিয়েছে, রিজার্ভ থেকে চুরি যাওয়া অর্থের একটি অংশ ফেরত দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ব্যবসায়ী কিম ওং। তিনি ৪৬ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার ফেরত দিতে চেয়েছেন। এই পরিমাণ অর্থ সোলেয়ার রিসোর্ট ও ক্যাসিনোতে জমা আছে। আরো আট লাখ ৬৩ হাজার মার্কিন ডলার আছে মাইডাস হোটেল ও ক্যাসিনোতে। শুনানিতে ওং দাবি করেন, ফিলরেমের কাছে এখনো চুরির অর্থের এক কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার রাখা আছে। তবে ফিলরেম ওংয়ের দাবি অস্বীকার করেছে।

শুনানিতে ওং আরো বলেন, ডিং ঝিজে ও সু হুয়া গাও নামের এই দুজন ব্যবসায়ীর অর্থ চুরির সঙ্গে জড়িত। এদের মধ্যে গাও তাঁর কাছে ৭৯ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার বাজিতে হারার পাওনা হিসেবে শোধ করেছেন। তবে, নির্দেশ দেওয়া হলে ওই অর্থও তিনি ফেরত দেবেন।

শুনানিতে সোলেয়ারের কর্মকর্তা সিলভেরিও বেনি বলেন, ব্যাংকের সতর্কতা জানার পর তাঁরা ক্যাসিনোতে ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৭০ হাজার পেসোর চিপস লেনদেন বন্ধ রাখেন। 

গত ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে সঞ্চিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার (প্রায় ৮০৮ কোটি টাকা) চুরি হয়। এর মধ্যে আট কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইনের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় প্রবেশ করে। এই অর্থছাড় হয় আরসিবিসি ব্যাংকের ম্যানেজার মায়া সান্তোস দেগুইতোর হাত দিয়ে। এ ঘটনায় ফিলিপাইনের সিনেটে মায়া সান্তোস দেগুইতো ও ফিলিপাইনের ব্যবসায়ী কিম ওংয়ের শুনানি চলছে।খবর:এনটিভিবিডি।