English Version
আপডেট : ১০ মার্চ, ২০১৬ ১২:০৭

ব্যান্ডউইথ রপ্তানি উদ্বোধন ২৩ মার্চ

অনলাইন ডেস্ক
ব্যান্ডউইথ রপ্তানি উদ্বোধন ২৩ মার্চ

আখাউড়া-আগরতলা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত উভয় দেশে বাণিজ্যিক সংযোগ স্থাপন লক্ষে আগামী ২৩ মার্চ ব্যান্ডউইথ রপ্তানি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে। একই দিনে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানিও উদ্বোধন করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বহুল আলোচিত ব্যান্ডউইথ রপ্তানি ও বাংলাদেশ কর্তৃক বিদ্যুৎ আমদানি উদ্বোধন করবেন।

শেখ হাসিনা ১০ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ রপ্তানি উদ্বোধনের জন্য বাটন ক্লিক করবেন অপরদিকে মোদি ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ বাটনের সুইচ অন করবেন।

বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) মহাপরিচালক মনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা ইতোমধ্যে বাণিজ্যিক সংযোগ স্থাপন করেছি এবং দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যান্ডউথ সঞ্চালন কার্যক্রম চালু করবেন। ভারত প্রাথমিকভাবে তার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার জন্য ১০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ নেবে।  প্রয়োজনে ভবিষ্যতে এটি বাড়তে পারে।

দেশে ব্যান্ডউইথ ব্যবস্থার জন্য দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান বিএসসিসিএল গত বছরের ডিসেম্বরে পরীক্ষামূলকভাবে সঞ্চালন শুরু এবং সকল কারিগরি ত্রুটি সনাক্ত করে। বিটিসিএলের অপটিক্যাল ফাইবার আখাউড়া-আগরতলা সীমান্তের জিরো পয়েন্টে ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার পর গত ১৬ নভেম্বর উভয় দেশ সংযোগ স্থাপন করে।

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকালে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিএসসিসিএল ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেডের (বিএসএনএল) সঙ্গে ব্যান্ডউইথ রপ্তানির জন্য একটি চুক্তি করে।

চুক্তি অনুযায়ী গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ত্রিপুরা রাজ্যের জন্য বিএসএনএল-এর ১০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ আমদানি করার কথা ছিল, কিন্তু এই রপ্তানি এক মাস এগিয়ে আগস্ট মাসে নির্ধারণ করা হয়। অবশ্য পরবর্তীতে বিশেষ করে ভারতের তরফে প্রস্তুতি শেষ না হওয়া ওই তারিখ পিছিয়ে যায়। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি তিন মাসের শুরুতেই অর্থ পরিশোধ করতে হবে এবং বাংলাদেশ ভারতে ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করে প্রতি বছর ৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা আয় করবে।

বিএসসিসিএল কর্মকর্তারা জানান, এক বছরের জন্য এই চুক্তি হয়েছে এবং তা আরও দুই বছর বাড়তে পারে। এক বছর পর ব্যান্ডউইথের মূল্য পুনঃনির্ধারণ করা হবে। এদিকে ভারতের আরও দুইটি প্রদেশ আসাম ও মেঘালয় বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইথ আমদানি করতে আগ্রহ দেখিয়েছে।

বিএসসিসিএল-এর ২০০ জিবিপিএস-এর বেশি ব্যান্ডউইথ রয়েছে এবং অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৫০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ রপ্তানির সামর্থ রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে মোট ব্যান্ডউইথের মাত্র ৩৩ শতাংশ ব্যবহৃত হচ্ছে। এ দেশে ২০২১ সাল নাগাদ ২১০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ-এর চাহিদা হতে পারে।

এদিকে বাংলাদেশ আরো ১৩০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ পেতে ২০১৬ সালে দ্বিতীয় আন্ডার সি ক্যাবলের সঙ্গে যুক্ত হবে।

খবর বাসস