English Version
আপডেট : ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১৫:২৭

সিপি বাংলাদেশ লি: এ ভ্যাট গোয়েন্দার তল্লাশি

নিজস্ব প্রতিবেদক
সিপি বাংলাদেশ লি: এ ভ্যাট গোয়েন্দার তল্লাশি

 

সিপি বাংলাদেশ লি: এর মালিকানাধীন তিনটি প্রতিষ্ঠানে একযোগে অভিযান চলছে। অনলাইনে অসংখ্য অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত হয়। ছয়জন সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে তিনটি টীম এ মুহূর্তে তল্লাশি চালাচ্ছে।

সিপির বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো ছিলো, সিপির তিন শতাধিক আউটলেটের ভ্যাট নিবন্ধন নেই এবং আউটলেটগুলো ভ্যাট দেয়না। এছাড়াও ইসিআর চালান না দেয়া, অন্য চালানও ইস্যু না করা, ভ্যাট আইনের আওতায় ব্যবসা না করা, চালান চাইলে দূর্ব্যবহার করা ইত্যাদি।

তাদের বিরুদ্ধে মূল্য সংযোজন কর না দেখানোর অভিযোগ, ফ্র্যাঞ্জাইজির ভ্যাট ফাঁকিতে সহায়তা করা, ভ্যাট প্রদান প্রক্রিয়ায় ধুম্রজাল, রহস্যময়তা এবং  লিমিটেড কোম্পানি হিসেব ক্রয়ের ক্ষেত্রে সোর্স ভ্যাট না কেটে রাখাসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।

একটা বড় প্রতিষ্ঠানে তল্লাশি করতে হলে ব্যাপক প্রস্তুতি প্রয়োজন হয়। সিপির মতো এমএনসি হলেতো কথাই নেই। অনেকবার আমরা সভায় বসে কাজের ধরণ, করদাতার সার্বিক প্রেক্ষাপট, চলমান ব্যবসা বিঘ্নিত না হওয়া, কখন রওনা করতে হবে, কিভাবে ঢুকতে হবে, কি কি তথ্য উপাত্ত চাইতে হবে/নিতে হবে, কে কোথায় কিভাবে অবস্থান করবে, কোন পর্যায়ে দলকে ইউনিটের তথ্য জানানো হবে ইত্যাদি।

ভ্যাট গোয়েন্দার পক্ষ থেকে বলা হয়, সিপি একটি বহুজাতিক কোম্পানি। অভিযোগ প্রমাণ হবার আগ পর্যন্ত আমরা তাদের বিরুদ্ধে ফাঁকির অভিযোগ আনছি না। আমরা অভিযোগগুলো আমলে নিয়েছি এবং যাচাই করার জন্য তাদের তথ্য উপাত্ত পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্যে নিয়ে আসব।

তারা বলেন, আমরা আবারো বলছি, বড়-ছোট, রুই-কাতলা, চুনোপুটি-রাঘব বোয়াল, দেশী-বিদেশী এসব নিয়ে আমরা চিন্তা করিনা। দেশের স্বার্থের সাথে সংঘাতপূর্ণ যেকোন অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে এনবিআর তথা আমাদের টার্গেট। এজন্যে সর্বাগ্রে প্রয়োজন আপনাদের অব্যাহত অকুণ্ঠ সমর্থন। আমরা সবাই মিলে দেশে সুস্থ কর-সংস্কৃতি চালু করব। দেশকে চিরতরে ভ্যাট-কর ফাঁকিমুক্ত করব।