English Version
আপডেট : ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১১:১৫

বাণিজ্যের নামে দেশের অর্থ পাচার হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
বাণিজ্যের নামে দেশের অর্থ পাচার হচ্ছে

বাণিজ্যের নামে ৮০ শতাংশ অর্থ বিদেশে পাচার হয়ে থাকে। এর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ পাচার হয় চোরাচালানের মাধ্যমে।

রোববার সন্ধ্যায় চোরাচালান নিরোধ কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে পুনর্গঠিত টাস্কফোর্সের প্রথম বৈঠকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান এ কথা বলেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বলেন, সময়ের ধারাবাহিকতায় চোরাচালানের নতুন নতুন ক্ষেত্র ও ধারনা আবিষ্কার হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে মানি লন্ডারিংয়ের শতকরা ৮০ ভাগ বাণিজ্যভিত্তিক অর্থপাচারের মাধ্যমে হয়ে থাকে। এর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ চোরাচালানের মাধ্যমে সংঘটিত হয়।

তিনি আরও বলেন, এ ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কাস্টমসসহ সংশ্লিষ্ট দফতর ও সংস্থাগুলো দায়িত্বশীলতার সঙ্গে চোরাচালান প্রতিরোধে কার্য্কর ভুমিকা রাখছে। কাস্টমস আইন ১৯৬৯ এর সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো মূল্যায়ন ও পর্যালোচনা করে সার্বিক কাজ করছে।

নজিবুর রহমান বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন দফতর ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ফলে চোরাচালান প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় টাস্কফোর্স একটি সমন্বিত রূপ পেয়েছে।

সভায় চোরাচালান প্রতিরোধে কাস্টমস হাউজ বেনাপোল, কাস্টমস হাউজ ঢাকা, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট রাজশাহী, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট চট্টগ্রাম, কাস্টমস এক্সসাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট যশোর, বিভাগীয় কর কমিশনারের কার্যালয় রাজশাহী ও কাস্টমস এক্সসাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের সার্বিক কর্মকান্ড ও দায়িত্ব কি হবে-তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি চোরাচালান নিরোধ টাস্কফোর্স পুনর্গঠন করা হয়। ১৯ সদস্যের ওই কমিটিতে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানকে সভাপতি ও  শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান সদস্য সচিব করা হয়। সর্বশেষ ১৯৮৮ সালে চোরাচালানবিরোধী চার স্তরের টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছিল।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এনবিআর সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এনবিআর চেয়ারম্যান ও পুনগঠিত টাস্কফোর্সের প্রধানের সভাপতিত্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, র‌্যাবের মহাপরিচালক, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি, নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতির প্রতিনিধি, আইজিপির প্রতিনিধি, এনবিআরের সদস্য (শুল্ক ও গোয়েন্দা), সকল বিভাগীয় কমিশনার, বিজিবি পরিচালকের প্রতিনিধি, এনএসআইয়ের মহাপরিচালকের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মহাপরিচালকের প্রতিনিধি, ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালকের প্রতিনিধি, পুলিশের উপমহাপরিদর্শক, সকল কমিশনার কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ও কাস্টম হাউস এবং আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালকের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।