English Version
আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১৫:৩৬

বেসিকের ঋণ কেলেঙ্কারিতে ২৭ কর্মকর্তাসহ ৫৬ প্রতিষ্ঠান জড়িত

নিজস্ব প্রতিবেদক
বেসিকের ঋণ কেলেঙ্কারিতে ২৭ কর্মকর্তাসহ ৫৬ প্রতিষ্ঠান জড়িত

বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির ২৭ কর্মকর্তাসহ ৫৬ প্রতিষ্ঠান জড়িত ছিল বলে জানিয়েছেন অর্থপ্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান।

দশম সংসদের নবম অধিবেশনে গতকাল বিকেলে প্রশ্নোত্তর পর্বে সিলেট-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম উদ্দিনের এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে অর্থপ্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান সংসদকে এ তথ্য জানান।

মন্ত্রীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী আলোচিত এই কেলেঙ্কারির ঘটনায় জড়িত বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন— ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম সাজেদুর রহমান, কাজী ফখরুল ইসলাম, সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মঞ্জুর মোরশেদ, উপ-মহাব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুস সোবহান, কনক কুমার পুরকায়স্থ, সাময়িক বরখাস্তকৃত উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ মোনায়েম খান, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সেলিম, মহাব্যবস্থাপক জয়নুল আবেদীন চৌধুরী, মো. মোজাম্মেল হোসেন, সাময়িক বরখাস্তকৃত মহাব্যবস্থাপক খন্দকার শামীম হাসান, মহাব্যবস্থাপক মো. মনিরুজ্জামান, গোলাম ফারুক খান, চাকরিচ্যুত মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আলী, সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক কোরবান আলী, উপ-মহাব্যবস্থাপক ওমর ফারুক, চাকরিচ্যুত উপ-মহাব্যবস্থাপক শিপার আহমেদ, সাময়িক বরখাস্তকৃত উপ-মহাব্যবস্থাপক এস এম ওয়ালিউল্লাহ, সহকারী ব্যবস্থাপক মো. জহির উদ্দিন, মো. ইমরুল ইসলাম, আবদুস সবুর, আবদুস সাত্তার খান, পলাশ দাশগুপ্ত, ইকরামুল বারী, সাবেক সহকারি ব্যবস্থাপক সরোয়ার হোসেন, ব্যবস্থাপক মো. মুহিবুল হক, চাকরিচ্যুত উপ-ব্যবস্থাপক এস এম জাহিদ হাসান, উপ-ব্যবস্থাপক এন এ তোফিকুল আলম।

এছাড়া আজাদ ট্রেডিং ভাসাবি ফ্যাশন লিমিটেড, তাহমিনা ডেনিম লিমিটেড, লাইফস্টাইল ফ্যাশন মেকার লিমিটেড, ইউকে বাংলা ট্রেডিং লিমিটেডসহ ৫৬টি প্রতিষ্ঠান এর সঙ্গে যুক্ত ছিল।

অর্থপ্রতিমন্ত্রী জানান, সরকারের পক্ষ থেকে বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ৬ জুলাই অর্থ মন্ত্রণালয় তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে একজন অভিজ্ঞ ব্যাংকারকে চেয়ারম্যান করে নতুন পরিচালনা পর্ষদ নিয়োগ দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৪ সালের ২৫ মে বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে জড়িত তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ফখরুল ইসলামকে অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে চাকরি থেকে অপসারণ করে।

এছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে বিভিন্ন থানায় ৫৬টি ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠান, ৮টি সার্ভেয়ার প্রতিষ্ঠানের ১১ জন মালিক-কর্মকর্তা এবং ২৭ জন ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এফআইআর দাখিল করেছে। মামলাগুলো বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।