English Version
আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১১:১৩

জিটুজি প্লাস পদ্ধতি: মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে সমঝোতা স্মারক সই

নিজস্ব প্রতিবেদক
জিটুজি প্লাস পদ্ধতি: মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে সমঝোতা স্মারক সই

 

বেসরকারি রপ্তানিকারকদের যুক্ত করে সরকারি ব্যবস্থাপনায় (জিটুজি প্লাস পদ্ধতি) মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে এই স্মারক সই হয়। এতে বাংলাদেশের পক্ষে সই করেন, প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি ও মালয়েশিয়ার পক্ষে সই করেন সে দেশের মানবসম্পদমন্ত্রী দাতো রিকার্ড রায়ট আনাক জিম।

সমঝোতা স্মারক সই করার পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতো রিকার্ড রায়ট আনাক জিম বলেন, নতুন এই পদ্ধতিতে মনোপলি (একচেটিয়া) ব্যবসার কোনো সুযোগ নেই।একেকজন কর্মীর ন্যূনতম মজুরি কত হবে এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে রিকার্ড রায়ট আনাক জিম বলেন, স্থানীয়ভাবে মালয়েশিয়ায় এলাকাভেদে ন্যূনতম মজুরি হলো ৯০০ ও ৮০০ রিঙ্গিত। সে অনুযায়ী মজুরি হবে। অনুষ্ঠানে প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের কর্মী পাঠাতে একেক জনের অভিবাসনব্যয় ৩৪ হাজার টাকা থেকে ৩৭ হাজার টাকার মধ্যে সীমিত রাখা সম্ভব হবে।

সমঝোতা স্মারকের ফলে শিগগিরই মালয়েশিয়ায় উল্লেখযোগ্য হারে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। আগে শুধু বৃক্ষরোপণে কর্মী নিয়োগের সুযোগ ছিল। এখন সেবা, নির্মাণ, কৃষি, বৃক্ষরোপণ ও অবকাঠামো খাতেও কর্মী নিয়োগের সুযোগ উন্মুক্ত হলো।সমঝোতা স্মারক চুক্তির মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। তবে দুই পক্ষের সম্মতিতে তা বাড়ানো যাবে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সি কর্মী নিয়োগের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবে। সরকারের তথ্যভান্ডারে নিবন্ধিত কর্মীর তালিকা থেকে কর্মী পাঠানো হবে।