English Version
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১৭:৪৬

পর্যটনে নারীরা অনেক পিছিয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক
পর্যটনে নারীরা অনেক পিছিয়ে

এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক সাবরিনা রহমান বলেছেন, দেশের পর্যটন খাতের কর্মসংস্থানে নারীরা অনেক পিছিয়ে রয়েছে পুরুষদের তুলনায়। সারাদেশের এ খাতে কর্মরত ১১ হাজার ২৭৩ জন কর্মীর মধ্যে পুরুষেই ১০ হাজার ১৫৭ জন।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

সাবরিনা রহমান বলেন, সারাদেশের ৭টি বিভাগের ১৩২টি হোটেলে কর্মরত আছেন ১১ হাজার ২৭৩ জন কর্মী। এরমধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ১৫৭ জন বা ৯০.১ শতাংশ ও নারী ১ হাজার ১১৬ জন বা ৯.৯ শতাংশ। ২০১৫ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০১৬ সালের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ের এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

তিনি জানান, ঢাকার বনানী, উত্তরা, গুলশান অন্যান্য জায়গায় ৬৮টি রেস্তোরাঁ রয়েছে। এরমধ্যে বনানীর ৩২টি রেস্তোরাঁয় ১.৩০ শতাংশ নারী কর্মজীবী কর্মরত আছে। এ ছাড়া গুলশানের ১৪টিতে ৫.৯৩ শতাংশ, উত্তরার ১২টিতে ২.৫২ শতাংশ ও অন্যান্য ১০টিতে ৭.৪৭ শতাংশ নারী কর্মজীবী রয়েছে। বাংলাদেশের ৩৫টি ট্রাভেল এজেন্সিতে ৪২৭ জন কর্মরত রয়েছেন। এরমধ্যে নারী ৫৯ জন বা ১৩.৮২ শতাংশ।

সহকারী অধ্যাপক ড. এ আর খান বলেন, হোটেল, রেস্তোরাঁ ও ট্রাভেলে বা এক কথায় পর্যটন খাতে কর্মসংস্থানে নারীরা অনেক পিছিয়ে রয়েছে। এসব খাতে নারীদের এগিয়ে আনতে হবে। নারীরাও এখন অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তবে নারীদের বর্তমান অবস্থানের পেছনে যে পশ্চাৎপদ মানসিকতা আছে তা দূর করতে হবে।

পর্যটন খাতের উন্নয়নে এআর খান সরকারসহ রাজনীতি দলগুলোর কাছে ৩টি প্রস্তাব রাখেন। এরমধ্যে প্রতিটি স্কুলে পর্যটন ক্লাব গঠন, পর্যটন শিল্পের জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা ও রাজনীতি দলগুলোর মধ্যে পর্যটনস বিষয়ক পদের ব্যবস্থা রাখা। এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে পর্যটনশিল্পের অনেক সম্প্রসারণ হবে বলে মনে করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন হাবিবুর রহমান, ট্যুরিজম কনসালটেন্সি সোসাইটির চেয়ারম্যান লেনিনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা।