English Version
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১৮:৪১

বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে আগ্রহী মালদ্বীপ

নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে আগ্রহী মালদ্বীপ

বাংলাদেশ থেকে ওষুধ, বালুসহ প্রয়োজনীয় সকল পণ্য আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেছে মালদ্বীপ বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।  সচিবালয়ে সোমবার বাংলাদেশে নিযুক্ত মালদ্বীপের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মেদ অসিমের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় মন্ত্রী এ কথা জানান।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, গত অর্থবছর বাংলাদেশ মালদ্বীপে ৫.৬৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি করেছে। একই সময়ে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ১.১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য। চলমান বাণিজ্য বৃদ্ধি করলে উভয় দেশ উপকৃত হবে।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের তৈরি ওষুধ ও উৎপাদিত চাল আমদানি করলে মালদ্বীপ লাভবান হবে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে শ্রীলঙ্কায় ৫০ হাজার টন চাল রফতানি করেছে। নেপালে ভূমিকম্পের সময় ১০ হাজার টন চাল অনুদান হিসেবে প্রেরণ করছে। মালদ্বীপ বাংলাদেশ বন্ধু রাষ্ট্র। সেখানে বাংলাদেশের প্রায় ৬৭ হাজার মানুষ মালদ্বীপে বসবাস করছে।

বাংলাদেশের প্রায় ৬০ জন চিকিৎসক মালদ্বীপে সুনামের সাথে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করছে। মালদ্বীপের অনেক ছাত্র-ছাত্রী বাংলাদেশের মেডিকেল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখা করছে। বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন ওষুধ তুলনামূলক কম দামে সরবরাহ করতে সক্ষম। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় ট্রিপস চুক্তির মেয়াদ ২০৩৩ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। উন্নত বিশ্বসহ পৃথিবীর প্রায় ১০৭টি দেশে বাংলাদেশ ওষুধ রফতানি করছে। মালদ্বীপ এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারে  বলে জানান তিনি।

এসময়ে মালদ্বীপের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মেদ অসিম বলেন, বাংলাদেশ থেকে প্রয়োজনীয় সকল পণ্য আমদানি করতে আগ্রহী মালদ্বীপ। বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প অনেক উন্নত। আগামী দিনে বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ বেশি করে ওষুধ আমদানি করবে। মালদ্বীপে বাংলাদেশর তৈরি ইলেক্ট্রনিক পণ্য, টয়লেটারিজ, ওষুধ, ক্রোকারিজ, শুকনা খাবার, কাপড়, শিশুদের পোশাক, শাবান, অলঙ্কার, প্লাস্টিক সামগ্রী, চামড়াজাত পণ্য প্রভৃতি পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। উভয় দেশের ব্যবসায়ী এবং সরকারি পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে এ বাণিজ্য অনেক বৃদ্ধি করা সম্ভব বলে জানান তিনি।