English Version
আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১৩:৫১

দেশের বেসরকারী ব্যাংক ইস্টার্ণ ব্যাংকের হিসাব থেকে টাকা উধাও

অনলাইন ডেস্ক
দেশের বেসরকারী ব্যাংক ইস্টার্ণ ব্যাংকের হিসাব থেকে টাকা উধাও

দেশের বেসরকারী ব্যাংক ইস্টার্ণ ব্যাংকের ২১ জন গ্রাহকের হিসাব থেকে টাকা উধাও হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার এসব অভিযোগ পাওয়ার পর সব ব্যাংকের জন্য সতর্কতা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ছয় ঘন্টার জন্য বন্ধ রাখা হয় ব্যাংকের বুথ থেকে টাকা তোলার সুযোগ। তবে এসব ঘটনা সাইবার আক্রমণ না প্রযুক্তিগত সমস্যা তা এখনও নির্ধারণ করতে পারেনি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ২১ জন গ্রাহকের মধ্যে মাহবুবা আক্তার নামে এক গ্রাহকের হিসাব থেকেই উধাও হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, রাজধানীর রোকেয়া সরণিতে অন্য একটি ব্যাংকের এটিএম বুথ ব্যবহার করে তার ইস্টার্ণ ব্যাংক হিসাব থেকে দুবারে ৪০ হাজার করে ৮০ হাজার টাকা তোলা হয়েছে বলে তিনি মোবাইলে মেসেজ পান।কিন্তু তাঁর এটিএম কার্ডটি বাসাতেই তাঁর কাছে ছিল। পরে তিনি ইবিএলের গ্রাহকসেবা বিভাগে অভিযোগ করেন। তখন তাঁকে জানানো হয়, এ রকম ঘটনা আরও কয়েকজনের সঙ্গেই ঘটেছে। গ্রাহকসেবা বিভাগের পরামর্শে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর কার্ডে লেনদেন বন্ধ করে দেন মাহাবুবা। তবে ইবিএলের জনসংযোগ বিভাগের প্রধান জিয়াউল করিম বলেছেন, গতকাল ২১ জন গ্রাহক তাঁদের হিসাব থেকে টাকা উধাও হওয়ার অভিযোগ করেছেন। অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এটা সাইবার আক্রমণ, না তাঁদের সিস্টেমের প্রযুক্তিগত সমস্যা—তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। জিয়াউল করিম বলেন, অভিযোগগুলো পাওয়ার পরে প্রথমে টাকা উত্তোলনের পরিমাণ (উইথড্র লিমিট) কমিয়ে ২০ হাজার করা হয়। এরপরও  সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে দুপুরের দিকে অনলাইনে লেনদেনের ব্যবস্থা ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচের (এনপিএস) লিঙ্কটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। নিজস্ব সিস্টেমও বন্ধ করে দেয় ইবিএল। এর ফলে এটিএম বুথগুলো থেকে গ্রাহকেরা আর টাকা তুলতে পারেননি। কয়েক ঘণ্টা এটিএম লেনদেন বন্ধ থাকার পরে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আবারও বুথগুলো চালু করা হয়। তিনি বলেন, যাঁরা অভিযোগ করেছেন, তাঁদের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংককে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আর্থিক ক্ষতির পরিমাণের বিষয়ে জিয়াউল করিম জানিয়েছেন, ‘একেকটি হিসাব থেকে দিনে এক লাখের বেশি টাকা তোলা যায় না। যার ফলে সব মিলিয়ে খোয়া যাওয়া টাকার পরিমাণটা খুব বেশি হবে না। তিনি দাবি করেন, ইবিএলের বুথ থেকে এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে ইবিএলের কার্ডে ভিসা সুবিধা যুক্ত থাকায় অন্য ব্যাংকের এটিএম বুথেও এই কার্ড ব্যবহার করা যায়। অন্য ব্যাংকের বুথ থেকেই জালিয়াতিটা হয়েছে।’ এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা বলেছেন, ‘তদন্ত করে এই ঘটরা রহস্য উদঘাটন করার পর গ্রাহকের স্বার্থ সংরক্ষণে বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করবে এবং সে অনুযায়ী ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেবে।’ শুভঙ্কর সাহা বলেন, দেশে প্রায় ৯০ লাখ এটিএম কার্ডের গ্রাহক রয়েছেন। গতকাল কী কারণে একটি ব্যাংকের গ্রাহকদের এ সমস্যা হলো, তা দেখার বিষয়। যদি ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচে সমস্যা হয়, তাহলে কার কী দায়, তা নির্ধারণের বিষয় রয়েছে। আবার সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ সিস্টেমে কোনো সমস্যা হলে তাও বের করা যাবে। তবে ইবিএলকে অবশ্যই গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।