English Version
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১৬:৫৯

যতদিন যাচ্ছে বর্ডার লেস দূরে যাচ্ছে: অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
যতদিন যাচ্ছে বর্ডার লেস দূরে যাচ্ছে: অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বিভিন্ন দেশের মধ্যে যাতে শুল্ক বাধাগুলো না থাকে, সে জন্য আমরা বহুদিন ধরে বর্ডার লেস (সীমান্তহীন) দেশের কথা বলে আসছি। এটা আমাদের স্বপ্নও ছিল। কিন্তু বিভিন্ন দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির কারণে যতদিন যাচ্ছে সেই আশা তত দূরে সরে যাচ্ছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর আয়োজিত ‘চোরাচালান ও শুল্ক ফাঁকি রোধে করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় শনিবার তিনি এ কথা বলেন। এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভাটি রাজধানীর কাকরাইলে অবস্থিত ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশে (আইডিইবি) অনুষ্ঠিত হয়।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্ডার দিয়ে বেশকিছু পণ্য প্রবেশ করে যেগুলো আমরা পছন্দ করি না। এমন তিনটি পণ্য হলো সোনা, কোকেন ও টাকা। এ ছাড়াও বিভিন্ন পণ্য অবৈধভাবে সীমান্ত দিয়ে দেশের ভিতর ঢোকে। এসব চোরাচালানের মাধ্যমে সন্ত্রাস অত্যন্ত শক্তিশালী হচ্ছে।

এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমেদ বলেন, দেশে অনেকভাবে চোরাচালান হচ্ছে। বাথরুমের মধ্যে সোনা পাওয়া যাচ্ছে। পেটের ভিতর থেকে জোর করে সোনা বের করা হচ্ছে। দেশের নাগরিক হিসেবে এটা দেশ ও আমাদের জন্য খুবই লজ্জার বিষয়।

দুর্নীতি করলে এনবিআর কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী উভয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বিমানের সিট খুলে কীভাবে এতোগুলো সোনা ভরা হলো কেউ কি জানে না? সংশ্লিষ্টদের ইন্ধন ছাড়া এটি সম্ভব না।’

তিনি বলেন, কাস্টম থেকে পণ্য ছেড়ে দেওয়ার পর সীমান্তের ৫ কিলোমিটারের মধ্যে আবার তল্লাশি করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এটি বন্ধ করা উচিত।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, মাননীয় প্রধান অতিথি কাস্টম কর্মকর্তারাই বলেছেন, সীমান্ত থেকে ৫ কিলোমিটার পরেও চেক করা হচ্ছে। অথচ বাংলাদেশের সীমান্তে মিয়ানমারকে ইয়াবা কারখানা করতে দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু কেউ কিছু বলছে না। কোথায় গেল আপনার (অর্থমন্ত্রী) বিজিবি। সীমান্তে আজ যা ধরা পড়ছে তা গাছের একটি পাতা মাত্র। একটি পাতা পড়লে গাছের আরও ১০টি পাতা গজাবে। চোরাচালান বন্ধে মূল উৎপাটনে কেউ ব্যবস্থা নিচ্ছে না, বলে জানান আব্দুল মাতলুব আহমেদ।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোজাম্মেল হক খান বলেন, সীমান্ত থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে বিজিবি চেক করে যদি কোনো অবৈধ পণ্য না পায়, তাহলে আমি বলব এটি অন্যায় হচ্ছে। কিন্তু যদি কাস্টম ছেড়ে দেওয়ার পরও চেক কর অবৈধ পণ্য পাওয়া যায়?

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমেদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোজাম্মেল হক খান, মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশীদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. মইনুল খান।