English Version
আপডেট : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১৮:৪৭

সরাসরি জাহাজ চলাচলে চুক্তি হচ্ছে, বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
সরাসরি জাহাজ চলাচলে চুক্তি হচ্ছে, বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড

বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে থাইল্যান্ড সমুদ্রবন্দরে সরাসরি জাহাজ চলাচলে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর (এমওইউ) করবে উভয় দেশ। এ স্বাক্ষরের ফলে উপকূলীয় জাহাজ চলাচল নিয়ে দু’দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠবে।

সফররত থাইল্যান্ডের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর মঙ্গলবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব অশোক মাধব রায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে এ বৈঠক হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন অশোক মাধব রায় ও থাইল্যান্ডের পক্ষে থাইল্যান্ডের পোর্ট অথরিটির সহকারী মহাপরিচালক প্রজাক শ্রীভাথানা।

বৈঠকে থাইল্যান্ডের প্রতিনিধিদলকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্ত বিভিন্ন সংস্থা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর বিষয়ে ধারণা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে নৌপরিবহন সচিব বলেন, ‘প্রতিনিধিদল বুধবার চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন করে মূল ধারণাটা নেবেন। চট্টগ্রাম পোর্টে আমরা কীভাবে হ্যান্ডলিং করি, আমাদের কাস্টম কীভাবে কাজ করে সব তারা দেখবেন।

এর মাধ্যমে যে কনফিডেন্স গ্রো (আত্মবিশ্বাস জন্মাবে) করবে তার ভিত্তিতে আমরা একটা এমওইউ (সমঝোতা স্মারক) স্বাক্ষর করব। যার মাধ্যমে থাইল্যান্ডের র‌্যানং বন্দরের সঙ্গে চট্টগ্রামসহ আমাদের অন্যান্য বন্দরের সরাসরি জাহাজ যোগাযোগ স্থাপিত হবে।’

প্রতিনিধিদলের চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনের পর একটি সমঝোতা স্মারকের খসড়া করার কথা জানিয়ে নৌসচিব বলেন, ‘এরপর সরকারের যে পর্যায়ে এর অনুমোদন নেওয়া প্রয়োজন সেখান থেকে অনুমোদন নেব। আমরা খসড়া করার আগে ও পরে আমাদের প্রাইভেট সেক্টরের সঙ্গে শেয়ার করে নেব। এরপর হয়তো এমওইউ স্বাক্ষরিত হবে।’ এরপর মূল চুক্তি হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘থাইল্যান্ড থেকে এখনো পণ্য পরিবহন করা হচ্ছে। তবে এটা সহজ করার জন্য চুক্তির করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, ‘থাইল্যান্ডের সঙ্গে আমাদের এক বিলিয়ন ডলারের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য রয়েছে। সেই বাণিজ্যটা এখন হচ্ছে ব্যাংকক ও সিঙ্গাপুরের মাধ্যমে, ট্রান্সশিপমেন্ট করে। এখন দেখা হচ্ছে এটা কীভাবে সরাসরি করা যায়। এতে থাইল্যান্ডের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরও বাড়বে। সরাসরি জাহাজ চলাচল করলে থাইল্যান্ড থেকে পণ্য পরিবহনে সময় অর্ধেক হয়ে যাবে।’

বৈঠকে বাংলাদেশের অন্য সদস্যদের মধ্যে পররাষ্ট্র, বাণিজ্য, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক এলাকা কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম বন্দর, মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও নৌ-খাতের বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

থাইল্যান্ড প্রতিনিধিদলে থাইল্যান্ড পোর্ট অথরিটির উপ-পরিচালক সমচাই হেমথং, পরিচালক সাসিপাত নান্দিগুপ্তা, বিজনেস প্রমোশন প্রধান তানাই ভিপাসাথাভাচ, র‌্যানং প্রদেশের গভর্নর সুরাইয়ান কানজানাসিল্প, চেম্বার অব কমার্সের চেয়ারম্যান সুদাপর্ন জদপিনিজ, থাই শিল্প র‌্যানং ফেডারেশনের সভাপতি ম্যাথাস র‌্যাংসিয়ানান, থাই বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সভাপতি মিংপ্যান্ট চায়াভিচিটসিল্প প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।