English Version
আপডেট : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১৮:৪১

ঢাকাই মসলিন ঐতিহ্য ফিরিয়ে অানতে সবার সহায়তা প্রয়োজন

নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকাই মসলিন ঐতিহ্য ফিরিয়ে অানতে সবার সহায়তা প্রয়োজন

বাংলার ঐতিহ্য ‘ঢাকাই মসলিন’ ফিরিয়ে আনতে সরকারি পৃষ্টপোষকতা ও নীতিগত সহায়তা দরকার। একইসঙ্গে দরকার বেসরকারি উদ্যোগ ও সহায়তা।

রোববার রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে মাসব্যাপী মসলিন উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত দিনব্যাপী এক সেমিনারে এমন মত তুলে ধরেন বক্তারা।সেমিনারের বিষয়বস্তু হল ‘মসলিন পুনরুজ্জীবন এবং নীতি ও প্রতিষ্ঠান’।

বক্তারা জানান, বেসরকারি উদ্যোগের সঙ্গে সরকারের নীতিগত ও আর্থিক সহায়তা যদি যোগ করা যায়, তবে বাংলার শত বছরের হারানো ঐতিহ্য মসলিন ফিরিয়ে আনার যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, সেটি বাস্তবে রূপ দেওয়া সম্ভব। মসলিন তৈরিতে যে ধরনের সুতার প্রয়োজন তা ব্যাপকভিত্তিতে উৎপাদন করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন বক্তারা।

তারা বলেন, এ চ্যালেঞ্জ তো রয়েছেই। সেই সঙ্গে মসলিন উৎপাদনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি সরবরাহ এবং কারিগরদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। সব কিছু সফলভাবে সম্পন্ন করতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দরকার। 

এসময়ে বাংলাদেশ তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, মসলিন তৈরির নীতিগত প্রক্রিয়ার সঙ্গে তুলা উন্নয়ন বোর্ড ইতোমধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আমরাও চাই, সরকারি-বেসরকারি যৌথ প্রচেষ্টায় প্রক্রিয়াটি এগিয়ে যাক।

তিনি বলেন, মসলিনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়া সম্ভব। কারণ শুধু দেশে নয়, সারা বিশ্বে এটির একটি সমৃদ্ধ বাজার আছে। তবে বাণিজ্যিক প্রক্রিয়ায় উৎপাদন করতে হলে এখনও অনেক গবেষণা করতে হবে।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী বলেন, মসলিনের মতো হারানো এই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে এবং রক্ষা করতে শিল্প মন্ত্রণালয় ভীষণ আগ্রহী। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রীরও নির্দেশ রয়েছে এ ব্যাপারে কাজ করতে।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দৃক ও জনপ্রিয় পোশাক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান আড়ংয়ের সহয়তায় সেমিনারের আয়োজন করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সিপিডির এক্সিকিউভি ডিরেক্টর মুস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সেমিনারে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, বাংলাদেশ তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. ফরিদ উদ্দিন, লন্ডনের ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড অ্যালবার্ট মিউজিয়ামের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক রোজেমারি ক্রিলসহ দেশি বিদেশি গবেষকরা অংশ নেন।