English Version
আপডেট : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১৭:২৩

জনগণের অর্থেই দেশের কার্যক্রম পরিচালিত হয়: পরিকল্পনামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
জনগণের অর্থেই দেশের কার্যক্রম পরিচালিত হয়: পরিকল্পনামন্ত্রী

পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘দেশের জনগণের জন্য আমরা কাজ করি, এদের অর্থে দিয়েই দেশের সব কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সুতরাং আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণকে অবহিত রাখা।’

পাবলিক-প্রাইভেট স্টেকহোল্ডার কমিটির (পিপিএসসি) নবম বৈঠকে বৃহস্পতিবার তিনি এ সব কথা বলেন।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন— পরিকল্পনা সচিব তারিক-উল হক, বাস্তবায়ন, পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব শহীদ উল্লা খান খন্দকার, সিপিটিইউ’র মহাপরিচালক ফারুক হোসেন এবং বিআইজিডির মহাপরিচালক ড. সুলতান মোহাম্মদ হাফিজসহ পিপিএসসির সদস্যরা।

বৈঠকে জানানো হয়, বাংলাদেশের সরকারি ক্রয় কার্যক্রম আরও শক্তিশালী হচ্ছে। সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) ক্রয় অনুমোদন কার্যক্রম ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট (ই-জিপি) প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়ায় যুক্ত হচ্ছে। ফলে দ্রুত ই-টেন্ডারিং কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভব হবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে কীভাবে সিসিজিপিকে এর সঙ্গে যুক্ত করা যায় সে সব বিষয়ে সরকারের পরামর্শে সিপিটিইউ শিগগিরই একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে একটি দিকনির্দেশনা তৈরি করা হবে।

ই-জিপি কার্যক্রমের সুবিধাগুলো হচ্ছে, পুরো সরকারি ক্রয় কার্যক্রমের একটি কেন্দ্রীয় ও জাতীয় ইলেক্ট্রনিক প্লাটফরম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সরকারি ক্রয়ে দরপত্র প্রক্রিয়াকরণ ও আইন/বিধির প্রতিপালন পরিবীক্ষণে একটি ইলেকট্রনিক ক্রয় ব্যবস্থাপনা তথ্য পদ্ধতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

ইলেকট্রনিক পদ্ধতি চালুর ফলে ক্রয় কার্যক্রমে বিভিন্ন ধরনের বিদ্যমান জটিলতা পরিহার করা সম্ভব হচ্ছে। অধিক সংখ্যক দরদাতা অবাধে ক্রয় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারে বিধায় অধিকতর প্রতিযোগিতা নিশ্চিত হচ্ছে। প্রচলিত পদ্ধতিতে টেন্ডার বাক্সে দরপত্র জমাদানের বিদ্যমান নিয়ম ই-জিপির ক্ষেত্রে অবলুপ্ত হয়েছে।