English Version
আপডেট : ৩১ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৯:০৫

পলিথিন আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন হবে: প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
পলিথিন আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন হবে: প্রতিমন্ত্রী

বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেছেন, পলিথিন আইন বাস্তবায়নে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য রক্ষায় পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধকরণ আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে রোববার বেলা ১১টায় ‘নিষিদ্ধ পলিথিনে পরিবেশ বিপর্যয় এবং পাটজাত ও পরিবেশবান্ধব পণ্যের চ্যালেঞ্জসমূহ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

মির্জা আজম বলেছেন, পলিথিন ব্যাগ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পূর্ণ অবৈধভাবে চলছে। সরকার শুধু রফতানি কাজে ব্যবহারের জন্য ৫ শতাংশ শুল্কে পলিথিনের কাঁচামাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে। বাস্তবে এসব কাঁচামাল দিয়ে ক্ষতিকর পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভূমিকা হতাশাব্যঞ্জক বলে জানান।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ছয়টি পণ্যে পাটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার ফলে পরিবেশ সংরক্ষণের পাশাপাশি ২০ লাখ বেল পাটের অভ্যন্তরীণ চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে।’

আলোচনা সভা বেশ কিছু  সুপারিশ করা হয়েছে। এগুলো হলো- পলিথিন নিষিদ্ধকরণ আইন এবং পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন অমান্যকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। পলিথিন ও টিস্যু ব্যাগের বিকল্প হিসেবে পাট, কাপড়, কাগজের ব্যাগ ও ঠোংগা ব্যবহারে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

পলিথিন ও টিস্যু ব্যাগ তৈরির কাঁচামাল আমদানি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং বন্ড লাইসেন্সের মাধ্যমে আমদানিকৃত পলি প্রোপাইলিন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তর, পাট অধিদপ্তর, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, এফবিসিসিআই, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে।