English Version
আপডেট : ৩০ জানুয়ারি, ২০১৬ ১২:৪২

মাইক্রোসফটের বার্ষিক আয় ৯৪০ কোটি ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক
মাইক্রোসফটের বার্ষিক আয় ৯৪০ কোটি ডলার

বার্ষিক ৯৪০ কোটি ডলার আয় করতে সক্ষম হয়েছে মাইক্রোসফট। এ হার ২০১৪ সালে ছিল ৫৫০ কোটি ডলার। এসময়ের ব্যবধানে আয় বেড়েছে ৩৯০ কোটি ডলার। ফলে সিলিকন ভ্যালিতে মাইক্রোসফটের অবস্থান দৃঢ় হয়েছে। এ সফলতার কারণ ‘ক্লাউড’ বলে জানালেন মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সত্য নাদেলা। সম্প্রতি সবশেষ প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০১৫) আয়-সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের সময় তিনি এ তথ্য প্রকাশ করেন। 

প্রধান নির্বাহী বলেন, ব্যবসা খাতের প্রায় সব জায়গায় ‘মাইক্রোসফট ক্লাউড’ ব্যবহার হচ্ছে ডিজিটাল প্লাটফর্ম হিসেবে। এর মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা সহজেই তাদের এজেন্ডায় পরিবর্তন আনতে পারেন। তাই ক্লাইডের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। এ জন্য ক্লাউডকে মাইক্রোসফটের সফলতার গোপন অস্ত্র বললেও ভুল হবে না।
 
মাইক্রোসফট এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড আউটলুক সেবা অনেক প্রতিষ্ঠানের বিশ্বস্ততা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। উইসকনসিন ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ে এভাবেই ক্লাউড ব্যবহার হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়ালাইজেশন স্থপতি বব প্ল্যাংকার জানান, ই-মেইল লেনদেনের ক্ষেত্রে ক্লাউড প্রযুক্তি খুবই সহজ। তাই কর্তৃপক্ষ এর ব্যবহারে উদ্যোগী হয়েছে। তিনি আরো জানান, তথ্য স্থানান্তরের জন্য মাইক্রোসফটের ক্লাউডভিত্তিক পণ্য ‘অফিস ৩৬৫’ ব্যবহার করে থাকেন।
 
মাড্রোনা ভেঞ্চার গ্রুপের বিনিয়োগকারী ম্যাট ম্যাকইলওয়েনের তথ্য অনুযায়ী, ক্লাউড খুবই প্রাকৃতিক একটি ব্যাপার। মাইক্রোসফটের অফিস সফটওয়্যার ব্যবহার ও ই-মেইল লেনদেনে ক্লাউড ব্যবহার শুরু করেছে তার প্রতিষ্ঠান। তার মতে, ক্লাউড ব্যবহার খুবই সহজ আর ব্যয় সাশ্রয়ী। সেলসফোর্স, ওরাকল ও গুগলের চেয়েও ক্লাউড অবকাঠামো, সেবা ও সফটওয়্যার এগিয়ে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান স্যাকস।