English Version
আপডেট : ২৮ জানুয়ারি, ২০১৬ ২০:৩৫

এশিয়ার বাজারে আবার কমলো জ্বালানি তেলের দাম

অনলাইন ডেস্ক
এশিয়ার বাজারে আবার কমলো জ্বালানি তেলের দাম

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক জ্বালানি তেলের মজুদ রেকর্ড পর্যায়ে উন্নীত হওয়ায় বৃহস্পতিবার এশিয়ার বাজারে জ্বালানি তেলের দাম দু'দিনের ব্যবধানে আবারও কমেছে। আর যুক্তরাষ্ট্রে তেলের মজুদ রেকর্ড পর্যায়ে উন্নীত হওয়ায় বিশ্ববাজারেও পণ্যটির সরবরাহের পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত হয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বার্তা সংস্থা এএফপির তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ইউরোপভিত্তিক ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি আগের দিনের চেয়ে ৩৫ সেন্ট বা ১ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ কমে ৩২ ডলার ৭৫ সেন্টে নেমে গেছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক তেলের দাম ৪৩ সেন্ট বা ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ কমে নেমে গেছে ৩১ ডলার ৮৭ সেন্টে।

বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি বিভাগ জানায়, দেশটির বাণিজ্যিক তেলের মজুদ ৮৪ লাখ ব্যারেল বেড়ে ৪৯ কোটি ৪৯ লাখ ব্যারেলে উন্নীত হয়েছে, যা আগের যেকোনও সময়ের চেয়ে বেশি।
মজুদ বেড়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জ্বালানি তেল ব্যবহারকারী দেশটির চাহিদা আগের চেয়ে কমেছে। আর এতে করে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম আরও কমতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এর আগে জ্বালানি তেলের সরবরাহ কমিয়ে আনতে ওপেকের সঙ্গে রাশিয়ার আলোচনার খবর ঘিরে গত মঙ্গল ও বুধবার আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলে দাম সাম্প্রতিককালের সর্বনিম্ন দরের চেয়ে প্রায় ২১ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।
সর্বশেষ বুধবার এশিয়ার বাজারে ইউরোপভিত্তিক ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি আগের দিনের চেয়ে ১ ডলার ৩৪ সেন্ট বেড়ে ৩৩ ডলার ১৪ ডলারে ওঠে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক তেলের দাম ৮৫ সেন্ট বেড়ে ৩২ ডলার ৩০ সেন্টে বিক্রি হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ফিলিপ ফিউচারসের বিশ্লেষক ড্যানিয়েল অ্যাং বলেন, 'জ্বালানি তেলের দামের বর্তমান দুর্বল ভিত্তির পরিপ্রেক্ষিতে এর দাম বৃদ্ধি নিয়ে আমরা কিছুটা সন্দেহের মধ্যে আছি।'
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার অপরিবর্তিত রাখায় ডলার কিছুটা দুর্বল হয়েছে, যা আপাতত জ্বালানি তেলের দাম আরও পড়ে যাওয়া ঠেকিয়ে দিতে পারে। তবে এ ধরনের সহায়তা 'দীর্ঘদিন অব্যাহত রাখা ঠিক হবে না'।