English Version
আপডেট : ২৭ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৬:০৮

ইটিপি বন্ধ থাকলে কারখানা বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ সরকারের

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইটিপি বন্ধ থাকলে  কারখানা বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ সরকারের
ফাইল ছবি

বর্জ্য শোধনাগার (ইটিপি) বসিয়েও যারা তা চালু রাখছেন না, সেসব কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। আর যেসব কারখানায় বর্জ্য শোধনাগার নেই, সেগুলোকে ইপিটি স্থাপনে সময় বেঁধে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান। রাজধানীঘেরা বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদী দূষণমুক্ত করতে বুধবার সচিবালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার পর নৌমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, নদী দূষণ যেন না হয় সেজন্য শিল্প কারখানায় ইটিপি করা দরকার। অনেকে ইটিপি করলেও তা চালু রাখে না।জরিমানা করেও এর সমাধান হচ্ছে না। যেসব শিল্প কারখানায় ইটিপি থাকা সত্ত্বেও তা চালু রাখা হয় না সেগুলো বন্ধ করে দিতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কারণ শিল্প কারখানার বর্জ্যে নদীর ৬০ ভাগ দূষণ হয়। ইটিপি থাকার পরও তা বন্ধ রাখায় বিভিন্ন কারখানা থেকে এ পর্যন্ত ১১৮ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে বলেও তথ্য দেন নৌমন্ত্রী। তবে কতোটি কারখানা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি। 

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন, পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ছাড়াও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল ইসলাস ও দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

নৌমন্ত্রী বলেন, যেসব কারখানায় ইটিপি নেই সেগুলোকে সময় বেঁধে দিয়ে ইটিপি বসাতে বলা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ইটিপি না বসালে সেগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, নদী দূষণের জন্য ট্যানারি দায়ী। সাভারে ট্যানারি স্থানান্তরে কাজ চলছে। তবে ব্যক্তিমালিকানাধীন ট্যানারি মালিকরা এতে খুব বেশি উৎসাহ দেখাচ্ছেন না।

সাভারে ইটিপি স্থাপনের কাজ শেষের পথে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে ইটিপি স্থাপনের কাজ শেষ হবে। কিন্তু ট্যানারি স্থানান্তরিত না হলে ইটিপি সচল না অচল তা পরীক্ষা করা যাচ্ছে না। অনেকে সাভারে স্থাপনা করলেও ট্যানারি স্থানান্তরে কার্যকর ভূমিকা নিচ্ছেন না। আমরা সেজন্য ট্যানারিগুলো সাভারে স্থানান্তরে শিল্প মন্ত্রণালয়কে সময় বেঁধে দেওয়ার অনুরোধ করেছি। এর মধ্যে না গেলে ট্যানারি বন্ধ করে দেওয়ার অনুরোধ করেছি।”

নদী দূষণমুক্তে প্রকল্প

ঢাকার চারপাশের নদীগুলো দূষণমুক্ত করতে সম্ভবতা যাচাই করে একটি প্রকল্প নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান শাজাহান খান। নৌ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে বিআইডব্লিউটিএ এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্পে অর্থায়নের প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা নেওয়া হবে।সব কাজ শেষে এই প্রকল্প হাতে নিতে চার থেকে পাঁচ বছর সময় লাগবে বলেও জানান মন্ত্রী। 

তিনি বলেন, নদী দূষণ ও দখলের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি করতে হবে। জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে নতুন করে কর্মসূচি নেওয়া হবে। স্থানীয় এমপি, মেয়র ও কাউন্সিলরদের সেখানে সম্পৃক্ত করা হবে। ঢাকা শহরের চারদিকের নদীগুলো যেভাবে দূষিত হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে আমরা তাতে উদ্বিগ্ন। দূষণমুক্ত করতে যেসব পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তা যথেষ্ট নয়।