English Version
আপডেট : ২৭ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৫:১০

ইটিপি চালু না রাখা কারখানা বন্ধের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইটিপি চালু না রাখা কারখানা বন্ধের নির্দেশ

বর্জ্য পরিশোধন প্ল্যান্ট (ইটিপি) থাকার পরও তা চালু না রাখা শিল্প-কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। পাশাপাশি ইটিপি না থাকা শিল্প প্রতিষ্ঠানকে তা স্থাপনে সময় বেঁধে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সচিবালয়ে বুধবার নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু ও তুরাগ নদীর দূষণরোধে করণীয়’ নির্ধারণে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভা শেষে নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

নদী দূষণের ৬০ ভাগ ঘটে শিল্প বর্জ্যে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকার চারপাশে শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলোর ইটিপি থাকা দরকার। ইটিপি করেছেনও অনেকে, কিন্তু এটি চালু রাখেন না। যে সব প্রতিষ্ঠান ইটিপি থাকার পরও তা চালু রাখেনি, নদীতে বর্জ্য ফেলছে, ইতোমধ্যে তাদের কাছ থেকে ১১৮ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করেছে পরিবেশ অধিদফতর।’

‘আমরা দেখেছি জরিমানা করেও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। এজন্য আমরা কঠোর পদক্ষেপে যাচ্ছি। আমরা পরিবেশ অধিদফতরকে নির্দেশনা দিয়েছি, যে সব শিল্প প্রতিষ্ঠানে ইটিপি আছে কিন্তু চালু রাখে না, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হোক’ বলেন তিনি।

যেগুলোতে ইটিপি নেই তাদের সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে শাজাহান খান বলেন, ‘ওই সময়ের মধ্যে ইটিপি স্থাপনে ব্যর্থ হওয়া শিল্প-কারখানাও বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

নৌ-পরিবহনমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক উপস্থিত ছিলেন।