English Version
আপডেট : ২৪ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৪:২৬

দুদককে তলব করেছে সংসদীয় কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক
দুদককে তলব করেছে সংসদীয় কমিটি

বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির বিষয়ে জানতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) বিশেষ তলব করেছে অর্থ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। সম্প্রতি সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে দুদক সচিব আবু মোহাম্মদ মোস্তফা কামালকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

আগামী বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারি বেলা ১১টায় দুদকের তদন্ত দলকে সংসদীয় কমিটিতে হাজির থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে। সংসদীয় কমিটির ওই চিঠিতে সই করেন কমিটির সচিব মোস্তাক আহমেদ।

তবে দুদক তলব বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে রাজি নন। পাশাপাশি কমিটির তলবে হাজির হবে কি না সেই বিষয়টিও অন্ধকারে রেখেছেন দুদক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদক এক কর্মকর্তা জানান, দুই-তিনদিনের মধ্যে সংসদীয় কমিটির তলবে হাজির বিষয়টি জানাবেন দুদক।

এদিকে, বেসিক ব্যাং‌কের দুই হাজার কোটি টাকার ঋণ কে‌লেঙ্কা‌রির অভিযোগে গত বুধবার দুপুরে তিন কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরা হলেন- ব্যাংকের ডিএমডি ফজলুস সোবহান ও ডিএমডি মো. সেলিম এবং ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) শিপার আহমেদ।

দুই মামলায় মোট ছয় দিনের রিমান্ড শেষে গত বুধবারে তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম ইউনুস খানের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তদন্ত কর্মকর্তা মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের আটক রাখার আবেদন করেন।

আসামিপক্ষ জামিনের আবেদন করেন। ঢাকা মহানগর হাকিম ইউনুস খান জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ১১ জানুয়ারি দুদকের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম তসরুজ্জামান গুলশান ও মতিঝিল থানার দুই মামলায় তাদের বিরুদ্ধে তিন দিন করে মোট ছয় দিন রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। ৭ জানুয়ারি দুদক তাদের আটক করে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে ঋণ জালিয়াতিসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে ওই কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করে।

প্রায় দুই হাজার ২০০ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির অভিযাগে ২০১৫ সালের ২১, ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর মোট ১৫৬ জনের বিরুদ্ধে পৃথক ৫৬টি মামলা করে কমিশন। মামলাগুলোর এজাহারে ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় গ্রেফতার ওই ব্যাংক কর্মকর্তাদের প্রধান ভূমিকা ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বেসিক ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় দুদক দুই ডজন মামলা করলেও আসামি হিসেবে ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা কেউ নেই।

বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়, সিএজি কার্যালয় ও খোদ বেসিক ব্যাংকের নানা প্রতিবেদনে এ কেলেঙ্কারির সঙ্গে সাবেক চেয়ারম্যান বাচ্চুসহ অনেকের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়। পক্ষান্তরে দুদকের কোনো মামলায় ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান বাচ্চুর সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় বিভিন্ন মহলে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়। তবে কমিশন বলছে, মামলার তদন্তে বাচ্চুর কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তা বিবেচনায় নেওয়া হবে।