English Version
আপডেট : ১০ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৫:৪৮

৭২ ঘণ্টার মধ্যে হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি সরাতে মন্ত্রীর চূড়ান্ত নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
৭২ ঘণ্টার মধ্যে হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি সরাতে মন্ত্রীর চূড়ান্ত নির্দেশ
ফাইল ছবি

আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি না সরালে কারখানাগুলো বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। এ জন্য আজ রোববার বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনকে (বিসিক) ট্যানারি মালিক বরাবর উকিল নোটিশ পাঠানোর নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হাজারীবাগ থেকে কারখানা পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সাভারসহ নির্ধারিত স্থানে সরাতে হবে। না হলে সাভারের চামড়া শিল্পনগরীতে মালিকদের নামে বরাদ্দ করা প্লট বাতিল করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী।

চলতি ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে শিল্প খাতের উন্নয়নে সরকার গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্পের কার্যক্রম মূল্যায়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক ও সংস্থা প্রধানদের নিয়ে আয়োজিত সভায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আজ এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শিল্পসচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াসহ শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থা ও করপোরেশনের প্রধান এবং প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পগুলোর অর্থ ছাড় ও ব্যয়ের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ সময় মন্ত্রী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের জন্য প্রতি ১০ দিন পর পর সংস্থা প্রধানদের নিয়ে মূল্যায়ন সভা ও অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য শিল্পসচিবকে নির্দেশনা দেন। তিনি সুনির্দিষ্ট সময়সীমা অনুযায়ী প্রকল্পের বিভিন্ন অঙ্গের কাজ বাস্তবায়নের বিষয়ে আরও তৎপর হতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে পরামর্শ দেন।

সভায় সাভারে চামড়া শিল্পনগরী প্রকল্পের অগ্রগতি মূল্যায়নকালে শিল্পমন্ত্রী বলেন, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে চামড়া শিল্পনগরে সিইটিপির বর্জ্য পরিশোধন কাজ শুরু করতে হবে। যেসব ট্যানারি মালিক নির্মাণকাজে বিলম্ব করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা ট্যানারি স্থানান্তরের জন্য সরকারের দেওয়া ক্ষতিপূরণের অর্থ নিয়ে কাজ বন্ধ রেখেছেন, তাঁদের হাজারীবাগের কারখানার মালামাল জব্দ করা হবে বলে তিনি জানান।  সভায় ভোক্তা পর্যায়ে আয়োডিনযুক্ত ভোজ্য লবণ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। এ লক্ষ্যে বাজার থেকে প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য বিএসটিআইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে লবণ আমদানিকারকদের তালিকা সংগ্রহ করে তাঁদের কার্যক্রম তদারকি এবং বাজারে মধুর গুণগতমান পরীক্ষার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।