English Version
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০৭:২৪

মুক্তিযোদ্ধাদের সেবার জন্য ডিএনসিসিতে থাকবে নির্দিষ্ট দিন

অনলাইন ডেস্ক
মুক্তিযোদ্ধাদের সেবার জন্য ডিএনসিসিতে থাকবে নির্দিষ্ট দিন

 

মুক্তিযোদ্ধাদের সেবার জন্য ডিএনসিসিতে নির্দিষ্ট দিন বরাদ্দের ঘোষণা দিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, প্রতি দুই মাসে একদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য বরাদ্ধ থাকবে। প্রতি দুই মাসে শেষ সোমবার একদিন ডিএনসিসির অডিটোরিয়ামে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বসব। তাছাড়া যেকোনো সময় আপনাদের সমস্যা হলে আমার দুয়ার সবসময় আপনাদের জন্য খোলা থাকবে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিজয় দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠা‌নে এই ঘোষণা দেন তি‌নি।

মেয়র বলেন, উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কোনো সেবা নিতে এসে মুক্তিযোদ্ধাদের যেন দ্বারে দ্বারে ঘুরতে না হয় কর্মকর্তাদের এই নির্দেশনা দিয়েছি। মুক্তিযোদ্ধারা যদি কোনো সেবার জন্য উত্তর সিটিতে আসেন তাহলে তাদের কোনো হ্যারেজমেন্ট করা যাবে না। সঙ্গে সঙ্গে তাদের কথা শুনতে হবে, কাজ করে দিতে হবে। বয়স্ক মুক্তিযোদ্ধাদের যদি প্রয়োজন হয় তাহলে তাদের বাসায় গিয়ে সেবা দিয়ে আসতে হবে।

তাদের কোনো কাজে সময়ক্ষেপণ করা যাবে না।তিনি বলেন, ডিএনসিসিতে আগে মুক্তিযোদ্ধাদের কবরগুলো ১০ বছরের জন্য সংরক্ষণ করা হতো। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে এই কবরস্থানগুলো আমরা সারা জীবনের জন্য সংরক্ষণ করব। বীর মু‌ক্তি‌যোদ্ধা‌দের জন‌্য নির্ধারিত কবরস্থান ১০ বছর সংরক্ষ‌ণের প‌রিব‌র্তে আজীবন বিনামূ‌ল্যে সংরক্ষ‌ণ করতে পারবেন।

মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের জন্য দেশ দিয়েছেন, আমরা তাদের জন্য আমাদের আওতায় থাকা সামান্য সেবাটুকু দেব। মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীনতা এনে দিয়েছেনে, তাদের যদি আমরা সম্মান না দেই তাহলে কিসের সিটি কর্পোরেশন। মুক্তিযোদ্ধারা লাল সবুজের পতাকা এনে দিয়েছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সভায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ঢাকা উত্তরের সড়কগুলোর নাম বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে করা হবে।মেয়র আতিকুল ইসলাম আরো বলেন, ২০২৪ সালে ডিসেম্বর মাসে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের নিয়ে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে আরো বড় পরিসরে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে একটি বিজয় মিছিল করা হবে। মিরপুরে মুক্তিযুদ্ধের অনেক স্মৃতি রয়েছে। শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থান সেখানে। মিরপুর জল্লাদখানা একসময় অবহেলিত ছিল। সেখানে মাদকের আখরা ছিল। আরেকপাশে ছিল ময়লার ভাগাড়। আমরা মিরপুর জল্লাদখানাকে নান্দনিকভাবে সাজিয়েছি। সেখানে একটি লাইব্রেরি নির্মাণ করে দিব। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সেখানে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে।এ সময় ডিএনসিসি মেয়র মিরপুরে একটি মুক্তিযোদ্ধা গেট তৈরি করা হবে বলেও ঘোষণা দেন।

ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. ইমরুল কায়েস চৌধুরী, ডিএনসিসির সকল বিভাগীয় প্রধান ও ডিএনসিসির কাউন্সিলরবৃন্দ এবং অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।