English Version
আপডেট : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৭:৩৬

এমপি পদ হারাচ্ছেন হাজী সেলিম!

অনলাইন ডেস্ক
এমপি পদ হারাচ্ছেন হাজী সেলিম!

এবার এমপি পদ হারাচ্ছেন ঢাকা-৭ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী মোহাম্মদ সেলিম। হাইকোর্টের আপিল বিভাগেও সাজা বহাল থাকায় শিগগির তাকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। আইন অনুযায়ী, ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত ও ন্যূনতম দুই বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে তার সংসদ সদস্য পদ বাতিল হওয়ার কথা।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ১০ বছরের সাজা আপিল বিভাগেও বহাল থাকায় যে কোনো সময় তার সংসদ সদস্য পদ বাতিল হতে পারে। এটি এখন সময়ের ব্যাপার। 

রায়ের কপি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে পৌঁছালেই তার আসন শূন্য ঘোষণা করা হতে পারে। পাপুলের সময় সংসদ সদস্য পদ আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করতে প্রায় একমাস সময় নেওয়া হয়েছিল।

বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হক স্বাক্ষরিত এ রায় প্রকাশ করা হয়। তবে এ মামলায় হাজী সেলিম বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। তাকে দ্রুত আত্মসমর্পণ করতে হবে।

রায় প্রকাশের পর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, রায়ের কপি এখনো হাতে পাইনি। শুনেছি রায়ে দু’জন বিচারপতি স্বাক্ষর করেছেন। বিচারিক আদালতে রায়ের কপি পাওয়ার একমাসের মধ্যে আসামিকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।

‘সাজা বহালের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর সেটি দুদকের পক্ষ থেকে জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। এরপর স্পিকার হাজী মোহাম্মদ সেলিমের সংসদ সদস্য পদ বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’

২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে লালবাগ থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। পাশাপাশি ২০ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়।

২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন হাজী সেলিম। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট তার সাজা বাতিল করেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক।

ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে হাইকোর্টে ওই আপিল (হাজী সেলিমের) পুনরায় শুনানি করতে বলা হয়। এরপর প্রায় পাঁচ বছর ওই আপিলের শুনানি হয়নি। সম্প্রতি আপিলটি শুনানির উদ্যোগ নেয় দুদক।

হাজী সেলিমের বিষয়ে সংসদ সচিবালয়ে আইন শাখার এক কর্মকর্তা জানান, রায়ের কপি পেতে বেশি সময় লাগার কথা নয়। তাই যে কোনো সময় তার আসন শূন্য ঘোষণা করা হবে।