English Version
আপডেট : ২০ জানুয়ারি, ২০২২ ০৭:৪১

বিএনপির লবিস্ট নিয়োগ নিয়ে এবার ইসিতে চিঠি

অনলাইন ডেস্ক
বিএনপির লবিস্ট নিয়োগ নিয়ে এবার ইসিতে চিঠি

যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপি যেসব লবিস্টের সঙ্গে চুক্তি করেছে, সেসব চুক্তির কপি জাতীয় নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে জানিয়েছে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। আজ বুধবার (১৯ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা বলেন। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালায় আয়-ব্যয় হিসাব দেওয়ার বিধান আছে।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু বিএনপির নয়া পল্টনের ঠিকানায় এই চুক্তি হয়েছে, সেজন্য কোন অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গেলো এবং সেটি লিপিবদ্ধ কিনা বা নিরীক্ষিত যে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে ওই সময়ের জন্য, সেখানে এই লেনদেন লিপিবদ্ধ আছে কিনা তা নিশ্চিত করার অনুরোধ করেছি। যদি এর ব্যত্যয় হয়, তবে প্রচলিত আইন অনুযায়ী তারা ব্যবস্থা নেবেন বলে আমি মনে করি। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমার কাছে বিএনপির লবিস্ট নিয়োগের ক্ষেত্রে পুরো লেনদেনের দালিলিক প্রমাণ নেই। এটি বিশেষজ্ঞদের কাজ। আমার কাছে যতটুকু প্রাথমিক তথ্য আছে ততটুকু দিয়েছি। এর আগে মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) ররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিয়েছে বিএনপি। এজন্য ৩৭ লাখ ডলার ব্যয় করা হয়েছে। লবিস্ট প্রতিষ্ঠানকে ওই অর্থ বিএনপি কিভাবে দিয়েছে সেটি তদন্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শুধু তাই নয় লবিস্টকে ফার্মকে প্রদেয় অর্থ বৈধপথে আয় করে দেওয়া হয়েছে কিনা সেটি দেখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকেও অনুরোধ জানাবে সরকার। এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।

বাংলাদেশ বিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য আটটি চুক্তির কপি প্রতিমন্ত্রীর কাছে আছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এরমধ্যে নূন্যতম তিনটি চুক্তি করেছে বিএনপি। তিনি বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে এই চুক্তিপত্রগুলো পাঠিয়ে দেবো। এখানে বিশেষ করে জাতীয়তাবাদী দলের ঠিকানা ব্যবহার করে এই চুক্তিগুলো করা হয়েছে। আমরা ধরে নিতে পারি জাতীয়তাবাদী দল সরাসরি এই টাকাগুলো দিয়েছে। এই টাকাগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিয়ে গেছে কিনা? যদি অনুমোদন না নিয়ে পাঠানো হয় তবে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন আছে, সেই আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক একটি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসাবে নির্বাচন কমিশনকে জানাবে। নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করি।

রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন অনুযায়ী প্রতি বছর শেষে আয়-ব্যয় হিসাব প্রকাশ করার বিধান আছে জানিয়ে তিনি বলেন, সেটি অনুযায়ী বিএনপি এই খরচগুলো লিপিবদ্ধ করে নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে কিনা। এগুলো পাবলিক ডকুমেন্ট। নির্বাচন কমিশন এবং বাংলাদেশ ব্যাংক যদি চায় একটি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নোটারাইজড করে তাদের কাছে জমা দিতে তাহলে দূতাবাসের মাধ্যমে ওই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এগুলো আমরা এনে দিতে পারবো। তিনি বলেন, চুক্তিপত্রে জামায়াত-ই-ইসলামীর ঠিকানা দেওয়া নেই। তবে লবিস্ট প্রতিষ্ঠানের যে উদ্দেশ্য সেখানে তাদের কথা বলা আছে। জামায়াতকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করার জন্য এটি যথেষ্ট। এর আগে সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বিএনপি-জামায়াতের লবিস্ট নিয়োগে অর্থ ব্যয়ের বিষয়টি তুলে ধরেন।