English Version
আপডেট : ৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ০৬:২৪

আওয়ামী লীগে শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ অপরিহার্য নয়: হানিফ

অনলাইন ডেস্ক
আওয়ামী লীগে শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ অপরিহার্য নয়: হানিফ

কোনো নেতার বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলন বা শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ উঠলে তার আওয়ামী লীগ করার আর সুযোগ থাকবে না উল্লেখ করে দলটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, শেখ হাসিনা ছাড়া দলে কেউ অপরিহার্য নয়। তিনি বলেন, আমরা সংগঠন করি। তাই নীতি-নৈতিকতাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, আমরা সমাজের প্রতিনিধিত্ব করি। সমাজের প্রতি আমাদের দায় আছে। মানুষ প্রত্যাশা করে, যারা দায়িত্বশীল পদে থাকে তারা ভালো কাজ করবে, ভালো কথা বলবে। কিন্তু আমরা অনেক সময় নৈতিকতার স্খলন দেখি। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর আইইবি মিলনায়তনে তিতাস গ্যাস কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) নতুন কমিটির অভিষেক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। হানিফ বলেন, কিছুদিন আগে গাজীপুরের মেয়রকে কিন্তু অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দল থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে। ডা. মুরাদ হাসানকে প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো হয়েছে। সেটা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। এর মধ্য দিয়ে একটি বার্তা পরিস্কারভাবে দেওয়া হচ্ছে, আওয়ামী লীগের জন্য শেখ হাসিনা ছাড়া কোনো ব্যক্তি অপরিহার্য নয়।

বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে বিএনপি নেতারা নাটক করছেন উল্লেখ করে হানিফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী মানবতা দেখিয়ে কারাবিধির বাইরে গিয়ে খালেদা জিয়াকে নির্বাহী ক্ষমতায় বাসায় থাকার সুযোগ দিয়েছেন। দন্ড স্থগিত রেখে তার চিকিৎসার সুযোগ দিয়েছেন। পৃথিবীর কোথাও কয়েদিকে এমন সুযোগ দেওয়ার নজির নেই। বিএনপি নেতারা দাবি করছেন তাকে বিদেশে পাঠাতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বেগম জিয়াকে বিদেশ পাঠাতে সকাল-বিকাল প্রেস ক্লাবের সামনে অযৌক্তিক দাবি তুলে বক্তব্য রাখছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির বিদেশে চিকিৎসা দেশের আইনের মধ্যে পড়ে না। দয়া করে প্রতিদিন প্রেস ক্লাবের সামনে নাটক করা বন্ধ করুন। দণ্ড স্থগিত অবস্থায় কেউ দেশের বাইরে যেতে পারে না। একমাত্র দণ্ড মওকুফ হলে তিনি বিদেশে যেতে পারেন। দোষ শিকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ আছে। রাষ্ট্রের অভিভাবক দয়ালু মানুষ। তিনি চাইলে ক্ষমা করে দিতে পারেন। তিনি আরো বলেন, ডা. মুরাদ হাসান অত্যন্ত নিম্নমানের রুচিহীন কথা বলেছেন। আমি অবাক হয়ে যাই, একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে কীভাবে এসব বলেন? এরকম রুচিহীন ব্যক্তি যার মধ্যে নিম্নতম রুচিবোধ নেই, অশ্লীল কথা বলে। এ রকম ব্যক্তির সাংগঠনিক কোনো দায়িত্বশীল পদে থাকার কোনো সুযোগ নেই, তিনি সেই সুযোগ হারিয়েছেন। সংগঠনের যেই পদে থাকুক না কেন সেই পদ থেকে অপসারণের জন্য আগামী কার্যনির্বাহী সভায় সুপারিশ করব।