English Version
আপডেট : ২২ জুন, ২০২১ ১৬:১১

খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেয়ার ব্যবস্থা করুন: সরকারকে বিএনপি

অনলাইন ডেস্ক
খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেয়ার ব্যবস্থা করুন: সরকারকে বিএনপি

উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে বিএনপি। মঙ্গলবার (২২ জুন) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের স্থায়ী কমিটির অনুষ্ঠিত বৈঠকের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

গত ২০ জুন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ফুসফুসসহ নানা জটিলতায় আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্যের সর্বশেষ অবস্থা পর্যালোচনা করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রীর চিকিৎসক বোর্ডের প্রধান ডা. এএফএম সিদ্দিকী জানিয়েছেন, দেশনেত্রী করোনা ভাইরাসের সংক্রামণ থেকে মুক্ত হলেও কোভিড পরবর্তি কয়েকটি জটিলতায় ভুগছেন এবং তিনি কোনো মতেই ঝুঁকিমুক্ত নন। উনার লিভার ও অন্যান্য জটিলতার চিকিতসা বিদেশে কোনো উন্নত কেন্দ্রে প্রয়োজন। বাংলাদেশে যার কোনো সুযোগ তুলনামূলকভাবে কম।

“স্থায়ী কমিটির সভা মনে করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে আরও উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রেরণের জন্য দেশনেত্রীর বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা ত্বরান্বিত করা এবং তার মুক্তি প্রদানের আহ্বান জানায়।”

খালেদা জিয়াকে বিদেশে প্রেরণ দলের পরবর্তি পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আগে বলিনি, উনার পরিবার বিদেশে প্রেরণ কথা বলেছিলো। আমরা এবার পার্টির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে রেজুলেশন নিচ্ছি যে, তার বিদেশে চিকিৎসা দরকার। এরজন্য যা কিছু সরকারের করা দরকার সরকারের করা উচিত ইমিডিয়েটলি।

‘তারপরের যে স্টেপগুলো আছে পরবর্তিতে আলাপ-আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো”। গত ১৯ জুন বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে ৫৩ দিন চিকিতসা পর খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসায় ফিরেছেন।

হাসপাতালে করোনা সংক্রামণ ঝুঁকি থাকার কারণে তাকে বাসায় নিয়ে চিকিতসার সিদ্ধান্ত নেয় ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড।

গত ১৪ এপ্রিল গুলশানের বাসায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন বিএনপি চেয়ারপারসন। সেখানেই তার চিকিতসা নেন। পরে পোস্ট কোভিড জটিলতা নিয়ে গত ২৭ এপ্রিল তাকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

প্রথম কয়েকদিন কেবিনে চিকিতসাধীন থাকলেও ফুসফুসের জটিলতা ভয়ংকর আকার ধারণ করলে বিএনপি চেয়ারপারসনকে কেবিন থেকে করোনারী কেয়ার ইউনিট(সিসিইউ) নিয়ে চিকিতসা দেয়া হয়। সেখানে একমাস ছিলেন তিনি।