English Version
আপডেট : ২১ জুন, ২০২১ ১৬:১৭

‘সরকারের স্বদিচ্ছার অভাবে দূর্নীতি ক্যান্সারের রূপ ধারণ করেছে’

অনলাইন ডেস্ক
‘সরকারের স্বদিচ্ছার অভাবে দূর্নীতি ক্যান্সারের রূপ ধারণ করেছে’

সরকারের স্বদিচ্ছার অভাবে অর্থনীতিতে দূর্নীতি ক্যান্সারের রূপ ধারণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ। তিনি বলেন, সরকার বলছে দুর্নীতির সাথে তারা জিরো টলারেন্স, এটার সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই। এটা কথার কথা বলছেন।’ সম্প্রতি দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশো অনুষ্ঠানে বিএনপির এই সাংসদ এসব কথা বলেন।

হারুন অর রশিদ বলেন, বাংলাদেশকে একটি স্বনির্ভর অর্থনীতির পরিবর্তে ঋণ নির্ভর অর্থনীতির দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন প্রকল্প বিদেশ থেকে ঋণ নিয়ে এসে বানাতে হচ্ছে। যে সকল প্রকল্প বানাতে লাগে ১০ হাজার কেটি টাকা তা বানাচ্ছেন ৩০ হাজার কোটি টাকায়। এই যে এখানে টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। আর অর্থমন্ত্রী বলছেন অর্থ পাচার করছে এমন লোকদের নাম জানা থাকলে নাম বলুন। আজকে রাষ্ট্র কেথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে?’

‘আজকে এমন ভয়াবহ সময়ের মধ্যে দেশ পরিচালিত হচ্ছে। আজকে কোভিডের ভয়াবহ অবস্থায় আপনাদের লজ্জা হওয়া উচিত ছিল। আজকে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট সাথে প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টার ফাদকে দিয়ে চুক্তি করা হলো তখনই আমরা এটার আপত্তি জানিয়েছিলাম। আজকে ভ্যাকসিনের জন্য ছুটাছুটি করছেন, দৌড়াদৌড়ি করছেন।’-যোগ করেন হারুন।

তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত জনগণকে আশ্বস্ত করতে পারছেন না যে আমরা কবে ভ্যাকসিন দিতে পারবো।’

বিএনপির এই সাংসদ বলেন, ‘কয়টা হাসপাতালে আপনি অক্সিজেনের ব্যবস্থা উন্নত করতে পেরেছেন? কয়টা হাসপাতালে কোভিড চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পেরেছেন? কেন করতে পারলেন না? এটা কি আমরা গতবার বাজেটের সময় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলাম যে দুই মাস তিন মাস পরে কোভিড থেকে মুক্ত হয়ে যাব? এখনো কোনো নিশ্চয়তা নেই। এখনো কোন কোন দেশে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ঢেউ আসছে, আবার শোনা যাচ্ছে চতুর্থ ঢেউ আসবে। সুতরাং সরকারের সত্যিকার অর্থে জনগণের কাছে জবাবদিহিতা নেই। এজন্য কোন কিছু কেই তারা আমলে নিচ্ছে না। জবাবদিহিতার জায়গায় যাচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বারবার বলছি স্বাস্থ্যমন্ত্রণায়কে সংস্কারের কথা। বারবার বলছি এই মন্ত্রণালয় একটি দুর্নীতির ডিপোতে পরিণত হয়েছে। কেনাকাটায় এই কোভিডকালীন সময়ে যে অনিয়ম দূরাবস্থা তৈরি হয়েছে এটাকে ঢেলে সাজানোর দরকার সংস্কার দরকার। কিন্তু কোন আমলেই নিচ্ছে।’