English Version
আপডেট : ২২ আগস্ট, ২০২০ ০১:১৬

তারেক রহমানসহ গ্রেনেড হামলার খুনিদের ফিরিয়ে আনা হবে: কাদের

অনলাইন ডেস্ক
তারেক রহমানসহ গ্রেনেড হামলার খুনিদের ফিরিয়ে আনা হবে: কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকারের এই মেয়াদে বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে পঁচাত্তরের খুনিদের মতো একুশে আগস্টের খুনিদেরও বিচারের রায় কার্যকর করা হবে। যারা বিদেশে আছে, বিশেষ করে তারেক রহমানসহ সেই খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।

শুক্রবার একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৬তম বর্ষ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রান্ত থেকে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, একাত্তরের লাখো শহীদের রক্তে যে মাটি ভিজেছিল, যে মাটি বঙ্গবন্ধুর রক্তে ভিজে ছিল পঁচাত্তরে।

‘সে মাটিতে আবারও রক্তস্রোতে যা ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিশ্ব অবাক বিস্ময়ে দেখলো, গোধূলির রঙে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের রক্তে কীভাবে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ রক্তাক্ত হয়েছিল’ যোগ করেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সেদিন তাদের টার্গেট ছিল বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। পঁচাত্তরের বুলেট ২০০৪ সালে ফিরে আসে প্রাণঘাতী গ্রেনেড হয়ে। নেতাকর্মীরা প্রাণপণ নেত্রীর সুরক্ষায় গড়ে তোলে মানবঢাল। আল্লাহর অশেষ রহমতে আবারও বেঁচে যান প্রিয় নেত্রী।’

তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে যা যা করার দরকার ছিল, তার সবই করেছিল তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকার। বিচারপতি জয়নুল আবেদীনকে দিয়ে করা হয় এক সদস্যের কমিশন। সে কমিশন হাস্যকরভাবে এই হামলার জন্য পার্শ্ববর্তী দেশকে দায়ী করে দায়িত্ব শেষ করে। এভাবে এ দেশে বিচারব্যবস্থাকে তারা প্রহসনে রূপান্তরের অপচেষ্টা চালায়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতিহাস বড় নির্মম। তাকে যারা সেদিন টার্গেট করেছিল, তার হাত দিয়েই শুরু হয় নির্মমতার বিচার। ঐতিহাসিক রায় হয়েছে, এখন উচ্চ আদালতে রয়েছে আপিল নিষ্পত্তির আশায়।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘উন্নয়নের পথের বাধা এক এক করে অপসারিত হচ্ছে। দেশের ভাগ্য বদলের ম্যাজিকাল ট্রান্সফরমেশন আপনার মাধ্যমেই হচ্ছে।’

গণভবন প্রান্ত থেকে সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।