English Version
আপডেট : ৪ জানুয়ারি, ২০২০ ১৭:১৭
সূত্র:

ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন তিনি। এরপর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হলে স্লোগানে স্লোগানে তাকে স্বাগত জানায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ‘জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘শেখ হাসিনার আগমন-শুভেচ্ছা স্বাগতম’ স্লোগান দিয়ে পুর্নমিলনীর প্রধান অতিথিকে বরণ করা হয়। পরে জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করা হয়।

ব্যাজ ও উত্তোরীয় পরিয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিকে বরণ করেন ছাত্রলীগের নেতারা। পরে দেশাত্মবোধক গানের গান বাজানো হয় অনুষ্ঠানে।

বাংলা, বাঙালির স্বাধিকার অর্জনের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় ১৯৪৮ সালের এই দিনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জন্ম হয়েছিল। উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ও প্রচীন ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭২তম বার্ষিকী উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তার দীর্ঘ রাজনৈতিক পরিক্রমায় ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিজয়, ৫৮’র আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ৬ দফার পক্ষে গণ-অংশগ্রহণের মাধ্যমে মুক্তির সনদ হিসেবে এই দাবিকে প্রতিষ্ঠা করে। এরপর ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে কারাগার থেকে মুক্ত করে আনা, ৭০’র নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়লাভ এবং ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে পরাধীন বাংলায় লাল সবুজের পতাকার বিজয় ছিনিয়ে আনতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে অংশ নেয় ছাত্রলীগ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর ছিনতাই হয়ে যায় স্বাধীনতার চেতনা ও গণতান্ত্রিক ধারা।