English Version
আপডেট : ২২ নভেম্বর, ২০১৯ ২২:৩৪
সূত্র:

‘সড়ক আইন নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর পরবর্তী কর্মসূচি’

‘সড়ক আইন নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর পরবর্তী কর্মসূচি’

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি শাজাহান খান বলেছেন, নতুন সড়ক আইন বিষয়ে শনিবার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় বৈঠকে আমরা সমস্যা এবং দাবিগুলো তুলে ধরব। তিনি এসব কীভাবে সমাধান করবেন সেটা বুঝে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর রাজধানীর তোপখানা রোডের স্বাধীনতা ভবনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের দুই দিনব্যাপী বর্ধিত সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

বর্ধিত সভায় আলোচনার বিষয়ে শাজাহান খান বলেন, আমরা দুই দিন ধরে সভা করছি। এখানে ৫৫ জনের উপরে নেতা বক্তব্য দিয়েছেন। সবার কথা আমরা ধৈর্য ধরে শুনেছি। ২৩৩টি সংগঠন আমাদের ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত। তার মধ্যে দেড় শতাধিক ইউনিয়নের প্রতিনিধি এখানে এসেছেন। বর্ধিত সভায় ফেডারেশনভুক্ত সংগঠনগুলো নতুন সড়ক পরিবহন আইন নিয়ে তাদের মতামত দিয়েছেন।

বিআরটিএ’র সচেতনতা কর্মসূচির সমালোচনা করে তিনি বলেন, নতুন আইন সম্পর্কে সচেতন করতে বিআরটিএ থেকে একটি লিফলেট দেওয়া হয়েছে। সেই লিফলেটে চালকের ১৩টি সাজার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সচেতন কি শুধু শ্রমিকরা হবে। মালিক, পথচারীদের সচেতন করতে হবে না। এখানে মালিকদের বিরুদ্ধে আইন আছে, যারা রাস্তা তৈরি করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইন আছে। এমনকি বিআরটিএ’র বিরুদ্ধেও আইন আছে। অথচ লিফলেট বিলি করে শ্রমিকদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক তৈরি করা হয়েছে। আতঙ্কের পাশাপাশি যখন আইনটি বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে তখন কোনো কোনো পুলিশের কিছু ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।

শাজাহান খান বলেন, নিরাপদ সড়কের দায়িত্ব শুধু সরকার বা চালকের নয়।পথচারী থেকে শুরু করে জনগণের সবার দায়িত্ব আছে। পথচারীরা ফুটওভারব্রিজ, আন্ডারপাস ব্যবহার করেন না, আইন মানেন না। গাড়িতে বসে বাইরে হাত রাখেন। তাহলে দুর্ঘটনা তো ঘটবেই। আমাদের দেশে সুবিধা হলো হাইকোর্টে রিট করলে একটা অর্ডার দিয়ে দেন। তারা কি বিচার করবেন না, কার দোষে দুর্ঘটনা ঘটল। পথচারী নাকি যাত্রী, চালক নাকি মালিকের কারণে দুর্ঘটনা ঘটল সেটা বিচার বিশ্লেষণ করে চার্জশিট দেওয়া উচিত। আমাদের এখানে দাবি উঠেছে, যৌথ উদ্যোগে এর তদন্ত হতে হবে।

সাম্প্রতিক পরিবহন ধর্মঘটে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে শাজাহান খান বলেন, এই পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়ে কেউ কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করেছেন।