English Version
আপডেট : ২ নভেম্বর, ২০১৯ ১৫:৪৩
সূত্র:

সাদেক হোসেন খোকার অবস্থা সংকটাপন্ন

সাদেক হোসেন খোকার অবস্থা সংকটাপন্ন

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা। তার বেঁচে থাকার আশা ছেড়ে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। যে কোনো মুহূর্তে না ফেরার দেশে চলে যেতে পারেন সাবেক এ মন্ত্রী। নিউইয়র্কের একটি ক্যান্সার হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। খোকার মৃত্যু হলে তার মরদেহ দেশে আনার বিষয়টি জটিল হয়ে পড়েছে। কারণ বাংলাদেশের পাসপোর্ট নেই তার। এ পরিস্থিতিতে চিন্তিত হয়ে পড়েছে খোকার পরিবার।

মাতৃভূমিতে নিজের অন্তিম শয্যা পেতে আকুতি জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা খোকা। তবে সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে চাইছেন না বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খোকা। তিনি তার সন্তান আর শুভাকাঙ্ক্ষীদের মনোভাবের কথা জানিয়েছেন বলে দলীয় ও পারিবারিক সূত্র জানায়। খোকার পরিবার তার আশু রোগমুক্তি কামনা করে দেশবাসীর দোয়া চেয়েছেন।

দলীয় ও পারিবারিক সূত্র জানায়, ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য ২০১৪ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রে যান খোকা। ২০১৭ সালের শেষদিকে খোকা এবং তার স্ত্রী ইসমত হোসেনের পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। তারা বাংলাদেশ কনস্যুলেটে পাসপোর্ট নবায়ন বা নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন। তবে দীর্ঘদিনেও পাসপোর্ট না পাওয়ায় তিনি যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন। সেই আবেদন এখনও নিষ্পত্তি হয়নি।

খোকার মৃত্যু হলে বিশেষ ব্যবস্থায় তার মরদেহ দেশে আনার সুযোগ তৈরি হতে পারে বলে বিএনপির নেতারা মনে করছেন। তবে তার স্ত্রীর দেশে আসা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। খোকার বড় ছেলে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন সমকালকে বলেন, ফুসফুসে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ায় তার বাবার জীবন বিপন্নপ্রায়। তিনি ৯০ শতাংশ অক্সিজেন-সাপোর্ট নিয়ে বেঁচে আছেন।

ইশরাক জানান, এ পরিস্থিতিতে তাদের পরিবার বেশ দুশ্চিন্তায় রয়েছে। তার বাবা ইন্তেকাল করলে কীভাবে মরদেহ দেশে আনা হবে তা নিয়ে তাদের উদ্বেগ বাড়ছে। তবে তারা দুয়েক দিনের মধ্যে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে পরিবারের জন্য ট্রাভেল ডকুমেন্টস চাইবেন। হাসপাতালে খোকার পাশে তার স্ত্রী, মেয়ে সারিকা সাদেক, ছেলে ইশরাক হোসেন, ইশফাক হোসেন এবং যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতাকর্মীরা রয়েছেন।