English Version
আপডেট : ১৯ অক্টোবর, ২০১৯ ১২:৩৬
সূত্র:

যুবলীগের শীর্ষ পদে আসছেন যারা

যুবলীগের শীর্ষ পদে আসছেন যারা

অনেকটা বিতর্কের মধ্যেই আগামী ২৩ নভেম্বর হতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের সপ্তম সম্মেলন। ক্যাসিনোকাণ্ড, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে অভিযুক্ত সংগঠনটির নেতারা যখন গ্রেপ্তার আতঙ্কে ভুগছেন ঠিক তখনই সম্মেলনকে ঘিরে ত্যাগী নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে উন্মাদনা। কে হচ্ছেন নতুন চেয়ারম্যান-সাধারণ সম্পাদক তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এর আগে ২০১২ সালের ১৪ জুলাই ওমর ফারুক চৌধুরীকে চেয়ারম্যান ও হারুনুর রশীদকে সাধারণ সম্পাদক করে যুবলীগের নতুন কমিটি হয়েছিল।

তিন বছর মেয়াদের ওই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে চার বছর আগে। বাংলাদেশের প্রথম যুব সংগঠন হিসেবে যুবলীগের আত্মপ্রকাশ ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনির হাত ধরে। ওই সময়ে তিনি সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এরপর সংগঠনটির দায়িত্ব পালন করেছেন শেখ ফজলুল করিম সেলিম, জাহাঙ্গীর কবির নানকের মতো নেতারা। তারা দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে সংগঠনকে চাঙ্গা রেখেছেন। কিন্তু বর্তমান সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী নেতৃত্ব নেওয়ার পর থেকেই যুবলীগ তার গৌরব হারিয়ে ফেলতে শুরু করে। সারা দেশে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসা, অস্ত্র ব্যবসা এবং হালের ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগ ওঠে দলটির কেন্দ্রীয় নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূলেও। ইতিমধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটসহ কেন্দ্রীয় ও নগর পর্যায়ের কয়েকজন নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্যমতে, গ্রেপ্তার হওয়া ওইসব নেতা কেন্দ্রীয় অনেক নেতার নাম বলেছেন। ফলে সংগঠনটির ভাবমূর্তি অনেকটা ক্ষুন্ন হয়েছে। সংগঠনটির তৃণমূল ও কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, যুবলীগের বর্তমান কর্মকাণ্ডে তারা হতাশ। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, যুবলীগ কর্মী পরিচয় দিতেও এখন তাদের বাধে। তারা চান, আগামীর সম্মেলনে এমন একজন দায়িত্ব পালন করুক যিনি আবারও যুবলীগের সম্মান ফিরিয়ে আনতে পারবেন। গর্বের সঙ্গে বলতে পারবেন ‘আমি যুবলীগ কর্মী’।