English Version
আপডেট : ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৭:৪৬
সূত্র:

খেলাপি ঋণের জন্য উচ্চ সুদহারকে দায়ী করলেন প্রধানমন্ত্রী

খেলাপি ঋণের জন্য উচ্চ সুদহারকে দায়ী করলেন প্রধানমন্ত্রী

ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণের জন্য উচ্চহারে সুদহারকে দায়ী করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, এখনো যেসব ব্যাংক সুদহার এক অংকে নামায়নি, সেগুলোকেও নানা সুযোগ সুবিধা দিয়ে এই লক্ষ্য বাস্তবায়ন করা হবে।

রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে দিয়ে এসব কথা বলেন সরকার প্রধান। এ সময় তিনি ব্যবসা বাণিজ্য ও রপ্তানি বাড়াতে সরকারের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। পরামর্শ দেন পণ্য বহুমুখীকরণের।

অনুষ্ঠানে অর্থবছরে রপ্তানি বাণিজ্যে অবদানের জন্য সেরা ৬৬ রপ্তানিকারককে সম্মানতা তুলে দেওয়া হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বিনিয়োগের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে নানা উদ্যোগ নিয়ে কথা বলেন। বিশেষভাবে তুলে ধরেন ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদহারের বিষয়টি। বলেন, ‘অত বেশি সুদ দিয়ে ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করতে গেলে খুব স্বাভাবিক যে ঋণখেলাপি হতেই হবে। কারণ, টাকা নেয়ার সাথে সাথেই তো আর ইন্ডাস্ট্রি তৈরি হয় না।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় এক লাখ ১২ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা। অবলোপন করা ঋণ ধরলে এই অংকটা দাঁড়ায় প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা। আ হ ম মুস্তফা কামাল অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে ঘোষণা দিয়েছিলেন, এখন থেকে এক পয়সাও খেলাপি ঋণ বাড়বে না। কিন্তু তিনি কথা রাখতে পারেননি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি ব্যাংকে ঋণ নিতে গেলে অনেক উচ্চহারে সুদ দিয়ে ঋণ নিতে হয়। ডাবল ডিজিটে। ইতিমধ্যে আমরা নির্দেশ দিয়েছি, ডাবল ডিজিটটা সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনতে হবে। কিছু কিছু ব্যাংক মেনেছে, কিছু কিছু ব্যাংক মানেনি এখনো। তবে সেটা আলাপ আলোচনা হচ্ছে এবং তাদের যা যা সুযোগ সুবিধা দেওয়ার, সেটাও আমরা করে যাচ্ছি এবং সেটাকে আমরা সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনতে চাই। এবং ইতিমধ্যে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছি, যাতে করে বিনিয়োগটা সহজ হয়।’

সরকার ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটিয়ে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ করতে চায় বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের পাশে আছি। আমি ব্যবসা করি না, আমাদের সরকার ব্যবসা করতে আসেনি। আমরা এসেছে ব্যবসায়ীদের সব রকমের সহযোগিতা দিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য যাতে আরো সম্প্রসারিত হয়, আর্থিকভাবে বাংলাদেশ যেন আরো শক্তিশালী হয়, বাংলাদেশে মানুষ যেন উন্নত জীবন পায়, জাতির পিতার যে স্বপ্ন, ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ যেন আমরা গড়ে তুলতে পারি, সেই লক্ষ্য নিয়েই আমাদের সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’

বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সমস্যাগুলোও একে একে দূর করা হচ্ছে বলেও জানান শেখ হাসিনা। তুলে ধরেন বিদ্যুৎ খাতের ব্যাপক উন্নয়ন, গ্যাস আমদানি, ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ার কথা।