English Version
আপডেট : ১৪ আগস্ট, ২০১৯ ২৩:৪২
সূত্র:

ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করতে অত্যাধুনিক মেশিন দিলেন শেখ তন্ময় এমপি

ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করতে অত্যাধুনিক মেশিন দিলেন শেখ তন্ময় এমপি

বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলায় ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু। বুধবার দুপুর পর্যন্ত বাগেরহাটে জেলায় সরকারী হিসেবে আরো ৩১জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীকে সনাক্ত করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এনিয়ে বাগেরহাট জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭১ জনে। বুধবার নতুন করে ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের মধ্যে ৭ জনকে বাগেরহাট ২৫০ বেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাগেরহাটের ৯টি উপজেলার মধ্যে ৭টি উপজেলায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে।

এদিকে বুধবার বিকালে বঙ্গবন্ধু পরিবারের তৃতীয় প্রজন্ম শেখ সারহান নাসের তন্ময় এমপি বাগেরহাটের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসা দেয়ার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন ও তার নির্বাচনী এলাকার বাগেরহাট ২৫০ বেড হাসপাতালের জন্য ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর রক্তের সেল গননার একটি অত্যাধুনিক মেশিন কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা শেষে শেখ সারহান নাসের তন্ময় এমপি বাগেরহাট ২৫০ বেড হাসপাতাল পরির্দশনে গিয়ে সেখানে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীদের সাথে কথা বলেন ও তাদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।

বাগেরহাটে সরকারী হিসেবে ৭১জন ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে ৬ আগস্ট সকালে খুলনার সিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৌদি প্রবাসী শরণখোলা উপজেলার বেল্লাল মোল্লার স্ত্রী খাদিজা বেগম মারা গেছেন। তবে বেসরকারি ভাবে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ১৫০জনে ছাড়িয়েছে বলে বাগেরহাটের বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারগুলো নিশ্চিত করেছে।

বাগেরহাট জেলার সরকারী হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগ সনাক্তে এনএ-ওয়ান টেস্টের ব্যবস্থা থাকলেও নেই আইজিজি ও আইজিএম টেষ্টের কোন ব্যবস্থা। সে কারণে বাগেরহাট জেলার ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সনাক্তে স্বজনদের উচ্চমূল্যে বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে ওইসব টেস্টগুলো করাতে হচ্ছে।

বুধবার নতুন করে ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের মধ্যে বাগেরহাট ২৫০ বেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে রয়েছেন, সদর উপজেলার খানপুর গ্রামের শুকুর আলী (২৮), সুন্দঘোনা গ্রামের আল আমিন (২৫), রঘুনাথপুর গ্রামের মানিক (২৪), কচুয়া উপজেলার হাজরাখালী গ্রামের তাসলিমা বেগম (৪০), সোলারকোলা গ্রামের সোহাগ মিনা (২২), চিতলমারী উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের শরিফুল (৩২) ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার হেড়মা গ্রামের সাথী (২২)।