English Version
আপডেট : ২ মে, ২০১৯ ১৭:০৯
সূত্র:

খালেদা হাসপাতালে, আবার পেছাল শুনানি

খালেদা হাসপাতালে, আবার পেছাল শুনানি

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা খালেদা জিয়াসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি পিছিয়েছে। বৃহস্পতিবার শুনানির তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাঁকে আদালতে নেওয়া হয়নি। আর এ কারণেই শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়।

রাজধানী বকশিবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে আজ মামলাটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করার পর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ২ এর বিচারক এ এইচ এম রুহুল ইমরান পরবর্তী শুনানির তারিখ আগামী ১৬ মে ধার্য করেন।

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি ও আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই বছর ৫ অক্টোবর খালেদা জিয়াসহ ১৬ আসামির অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।

মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়া অপর আসামিরা হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, তার ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হক, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক জ্বালানিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এস আর ওসমানী, সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম এবং খনির কাজ পাওয়া কম্পানির স্থানীয় এজেন্ট হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন। এ ছাড়া সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া, সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মো. মুজাহিদ, এম কে আনোয়ার ও এম শামসুল ইসলামের বিরুদ্ধেও অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। তবে নিজামী ও মুজাহিদকে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসি দেওয়া হয় ও অন্য চারজন মারা গেছেন। এখন খালেদাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে বিচারকাজ চলছে।

উল্লেখ্য, দুটি দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা এখন কারাগারে আছেন। কারাগারে থাকা অবস্থায়ই তাঁকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।