English Version
আপডেট : ৭ জানুয়ারি, ২০১৯ ১০:৪৮
সূত্র:

আমু তোফায়েল মতিয়া ইনু মেনন নাহিদসহ বাদ পড়লেন ৩৬ জন

আমু তোফায়েল মতিয়া ইনু মেনন নাহিদসহ বাদ পড়লেন ৩৬ জন

টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। গতকাল ৪৭ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভার নাম ঘোষণা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম। শেখ হাসিনার নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি বর্তমান মন্ত্রিসভার ২৫ মন্ত্রী, ৯ প্রতিমন্ত্রী ও ২ উপমন্ত্রী। এদের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের শরিক দলগুলোর বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতাও রয়েছেন।

বাদ পড়াদের তালিকায় রয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, যদিও তিনি আগেই অবসর নিতে চান বলে জানিয়েছিলেন। সেজন্য একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীও হননি। বাদ পড়াদের তালিকায় আরো রয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম, সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী মুহাঃ ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, পরিবেশমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, পানিসম্পদমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, মত্স্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, বিমানমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল ও ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান। এর মধ্যে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী একাদশ সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পাননি। টেকনোক্র্যাট দুই মন্ত্রী নুরুল ইসলাম ও মতিউর রহমান ভোটের আগেই পদত্যাগ করেন।

প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে বাদ পড়েছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক (চুন্নু), বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী।

বাদ পড়েছেন দুই উপমন্ত্রীও। এরা হলেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আরিফ খান জয়। আরিফ খান জয় নির্বাচনে মনোনয়ন পাননি।

আগের মন্ত্রিসভায় জাতীয় পার্টির তিনজন মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। নতুন মন্ত্রিসভায় দলটির কেউ নেই। বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকার কারণে এবার তারা মন্ত্রিসভায় যোগ দেবেন না বলে শপথের পরদিনই দলটির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ জানান।

মহাজোটের শরিক জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় পার্টির (জেপি) কেউই নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি। আগের মন্ত্রিসভায় ছিলেন জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন ও জেপির আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।