English Version
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২১:০৮
সূত্র:

এবারও রেকর্ড সংখ্যক ভোট পেয়ে নির্বাচিত হবেন ফারুক খান এমপি

এবারও রেকর্ড সংখ্যক ভোট পেয়ে নির্বাচিত হবেন ফারুক খান এমপি

মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি ১৯৫১ সালের ১৮ই সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলাধীন বেজড়া গ্রামের সম্ভ্রান্ত খান পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। পিতা-মরহুম সিরাজুল করিম খান (নান্না খান) এবং মাতা-মরহুমা খালেদা করিম খান। শিক্ষা জীবনে মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি আরমানিটোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় হতে মাধ্যমিক এবং ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর সেনাবাহিনীতে অফিসার হিসেবে যোগদান করে ১৯৭১ সালের ১৮ই এপ্রিল কমিশন লাভ করেন। পাকিস্তান সামরিক একাডেমী থেকে গ্রাজুয়েশন এবং পরর্বতীতে ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিফেন্স স্টাডিজ এ মাষ্টারস অর্জন করেন। দীর্ঘ ২৬ বছর সেনাবাহিনীতে চাকুরি করার পর ১৯৯৫ সালে লে: কর্ণেল পদে কর্মরত থাকাকালে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন। পরিবারিব জীবনে জনাব মুহাম্মদ ফারুক খান ১৯৭৪ সালে ঢাকার বিক্রমপুরের সম্ভ্রান্ত খান পরিবারের মরহুম দবির উদ্দিন খান সাহেবের মেয়ে নিলুফার খানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি দুই কণ্যার জনক। সেনাবাহীনীতে চাকুরিকালীন তিনি ১ম ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট (সিনিয়র টাইগার) এবং ২৫ ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট (মৃত্যুঞ্জয়ী পঁচিশ)-এর অধিনায়কের দায়িত্ব পালনসহ বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমী, এসআইএন্ডটি, ষ্টাফ কলেজ এবং সেনা সদরে গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকুরি করেছেন। সেনাবাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ থেকে এবং ১৯৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কৃতিত্বের সাথে কমান্ড এবং জেনারেল ষ্টাফ কোর্স সম্পন্ন করেন। তিনি ছিলেন সেনাবাহিনীতে একজন দক্ষ প্যারাট্রপার। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় ডিসেম্বর মাসে কর্ণেল ফারুক খান পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কর্মরত থাকাকালে পালিয়ে এসে মুজিবনগর সরকারে যোগ দেন।

রাজনৈতিক জীবনে লে: কর্ণেল (অব:) মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি ঢাকা কলেজে অধ্যায়ন করার সময় ছাত্রলীগের হয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে তার পদার্পণ। ১৯৯৫ সালে সামরিক বাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করে আওয়ামী লীগে যোগদানের মাধ্যমে জাতীয় রাজনীতিতে তার অভিষেক হয়। ১৯৯৬ সালে ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে তিনি প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং ২০০১ সালের ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দ্বিতীয়বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ৯ম জাতীয় সংসদে বিজয়ী হন এবং তৃতীয় বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

দশম জাতীয় সংসদে নির্বাচনে ফারুক খান চতুর্থ বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। কাশিয়ানী মুকসুদপুরের উন্নয়নের অগ্রসৈনিক লে: কর্ণেল (অব:) মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি। তার ঐকান্তিক প্রচষ্টোয় উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে গোপালগঞ্জ-১ তথা মুকসুদপুর-কাশিয়ানীতে। জননেতা ফারুক খান তার ঢাকা-মাওয়া-খুলনা রাস্তার মুকসুদপুর কাশিয়ানীর অংশসহ প্রতিটি ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করেছেন। মুকসুদপুর কলেজ সরকারীকরন, এসজে হাই স্কুলকে মডেলপ্রকল্পে নেয়াসহ অসংখ্য শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে নতুন ভবন নির্মাণ, মেরামত ও সংস্কার কাজ করেছেন। প্রতিটি ইউনিয়নে প্রায় ৮০% এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ স্থাপন করেছেন। মুকসদপুর উপজেলার টেংরাখোলা, বনগ্রাম বাজার, কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়া পাড়া নদী ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। মুকসুদপুর হাসপাতালকে ৩৯ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরনসহ কমিউনিটি ক্লিনিক ও স্যানিটেশন কার্যক্রমের উন্নয়ন ঘটিয়েছেন। তিনি ৬ জানুয়ারি ২০০৯ এ সরকারের একজন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন এবং ৭ জানুয়ারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করায় প্রধানমন্ত্রী তার কাজে সন্তুষ্ট হয়ে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণলয়ের মন্ত্রী হিসেবেও তাকে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেন। লে: কর্ণেল (অব:) মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি ছিলেন একজন সফল মন্ত্রী। তিনি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তার মন্ত্রণালয়ে কখনো বিশৃঙ্খলা ঘটেনি।

তার দক্ষতা ও কর্মনিষ্ঠার কারণে তিনি প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হন এবং একাদশ সংসদের নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য নির্বাচিত হন। সর্বশেষ তিনি গোপালগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পান। এবারও তিনি রেকর্ড সংখ্যক ভোট পেয়ে নির্বাচিত হবেন বলে আশা করা যায়।