English Version
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২২:৩৬
সূত্র:

কে হাসবেন শেষ হাসি?

কে হাসবেন শেষ হাসি?

চারটি রাজনৈতিক দলের প্রধান লড়ছেন এক আসনে। ফলে এ আসনকে ঘিরে কৌতূহল দেশজুড়ে। এ চারজনের দুইজন বর্তমান সংসদের সদস্য। অপর দুইজনও সাবেক সংসদ সদস্য। আসন্ন নির্বাচনে সংসদে যাওয়ার প্রতিযোগিতায় কে থাকবেন এগিয়ে তা নিয়ে চলছে নানা হিসাবনিকাশ।

এ চার প্রার্থী হলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ)-এর প্রধান এসএম আবুল কালাম আজাদ এবং তৃণমূল বিএনপির সভাপতি ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। এ চার ভিআইপি প্রার্থীর কারণে ঢাকা-১৭ আসন এখন গোটা দেশের দৃষ্টিতে। এ আসনে রয়েছেন আরও ৬ প্রার্থী।

রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান, বনানী, বারিধারা এবং সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত এ আসন। দেশের কূটনীতিক পাড়াও এই নির্বাচনী আসনের মধ্যে। এ আসনের সীমানার মধ্যে রয়েছে ভাষানটেক, বালুঘাট ও মানিকদী, ধামালকোট, লালাসরাই, বাইগারটেক ও আলিবর্দীরটেক। রয়েছে রাজধানীর সব থেকে বড় বস্তি কড়াইলসহ তিনটি বস্তি। এ আসনে লড়ছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের প্রার্থী এসএম আহসান হাবিব (মই), প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল প্রার্থী আলি হায়দার (বাঘ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আমিনুল হক তালুকদার (হাতপাখা), বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রার্থী লে. কর্নেল ডা. (অব.) একেএম সাইফুর রশিদ (কুলা), জাকের পার্টির প্রার্থী কাজী মো. রাশিদুল হাসান (গোলাপফুল) লড়ছেন ভোটের মাঠে।

উল্লেখ্য, ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এই আসনে প্রথমে নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে খালেদা জিয়া আসনটি ছেড়ে দিলে উপ-নির্বাচনে মেজর (অব.) কামরুল ইসলাম এমপি হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে এ আসনের এমপি নির্বাচিত হন জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। আর সর্বশেষ ২০১৪ সালের একতরফা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিটে বিএনএফের আবুল কালাম আজাদ নির্বাচিত হন।