English Version
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১১:৫২
সূত্র:

প্রতীক পেয়েই প্রচারণায় প্রার্থীরা

প্রতীক পেয়েই প্রচারণায় প্রার্থীরা

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন প্রার্থীরা। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে দেশজুড়ে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে তাদের এ প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রতীক পেয়েই বিভিন্ন জেলার প্রার্থীরা শুরু করেছেন নির্বাচনী প্রচারণা ও গণসংযোগ। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—

খুলনায় ৩৫ প্রার্থীর প্রতীক বরাদ্দ

খুলনার ছয়টি আসনের ৩৫ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গতকাল জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হেলাল হোসেন প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেন।

এদিকে প্রতীক পেয়েই প্রচারণায় নেমেছেন প্রার্থীরা। গতকাল দুপুরের পর শহরের বিভিন্ন এলাকায় প্রার্থীদের প্রচারণা করতে দেখা গেছে।

প্রতীকপ্রাপ্ত প্রার্থীরা হলেন খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনে আওয়ামী লীগের পঞ্চানন বিশ্বাস নৌকা, বিএনপির আমীর এজাজ খান ধানের শীষ, জাতীয় পার্টির (এ) সুনীল শুভ রায় লাঙ্গল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা আবু সাইদ হাতপাখা ও কমিউনিস্ট পার্টির অশোক কুমার সরকার কাস্তে।

খুলনা-২ (সদর-সোনাডাঙ্গা) আসনে আওয়ামী লীগের সেখ সালাউদ্দিন জুয়েল নৌকা, বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু ধানের শীষ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল হাতপাখা, গণফ্রন্টের মনিরা বেগম মাছ, জাকের পার্টির কেএম ইদ্রিস আলী বিল্টু গোলাপ ফুল, কমিউনিস্ট পার্টির এইচএম শাহাদত কাস্তে ও বিএনএফের এসএম সোহাগ টেলিভিশন।

খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী) আসনে আওয়ামী লীগের মন্নুজান সুফিয়ান নৌকা, বিএনপির রকিবুল ইসলাম বকুল ধানের শীষ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অধ্যক্ষ মাওলানা মোজাম্মিল হক হাতপাখা, জাকের পার্টির এসএম সাব্বির হোসেন গোলাপ ফুল ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের জনার্দন দত্ত মই।

খুলনা-৪ (রূপসা-দীঘলিয়া-তেরখাদা) আসনে আওয়ামী লীগের আব্দুস সালাম মুর্শেদী নৌকা, বিএনপির আজিজুল বারী হেলাল ধানের শীষ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেএম আলী দাদ কোদাল, বিএনএফের মেজর (অব.) শেখ হাবিবুর রহমান টেলিভিশন, ইসলামী আন্দোলনের ইউনুস আহমেদ শেখ হাতপাখা ও জাকের পার্টির আনসার আলী গোলাপ ফুল।

খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) আসনে আওয়ামী লীগের নারায়ণ চন্দ্র চন্দ নৌকা, জামায়াতে ইসলামীর অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার ধানের শীষ, সিপিবির চিত্তরঞ্জন গোলদার কাস্তে, ইসলামী আন্দোলনের শেখ মুজিবুর রহমান হাতপাখা ও জাতীয় পার্টির শহীদ আলম লাঙ্গল।

খুলনা-৬ আসনে আওয়ামী লীগের আখতারুজ্জামান বাবু নৌকা, জামায়াতের মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ধানের শীষ, জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু লাঙ্গল, ইসলামী আন্দোলনের গাজী নূর আহমেদ হাতপাখা, জাকের পার্টির শেখ মর্তুজা আল মামুন গোলাপ ফুল, কমিউনিস্ট পার্টির সুবাস চন্দ্র সাহা কাস্তে ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টির মির্জা গোলাম আজম টেলিভিশন।

বগুড়ায় প্রতীক পেয়ে মাঠে ৪৪ প্রার্থী

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়ার সাতটি আসনে ৪৪ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল জেলা রিটার্নিং অফিসার ফয়েজ আহাম্মদ তার সভাকক্ষে প্রতীক তুলে দেন। প্রতীক পেয়েই প্রার্থী ও তার সমর্থকরা প্রচার-প্রচারণায় নেমে পড়েন।

বগুড়া-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী কাজী রফিকুল ইসলাম ধানের শীষ, মহাজোট মনোনীত আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল মান্নান নৌকা, ইসলামী আন্দোলনের এবিএম মোস্তাফা কামাল পাশা হাতপাখা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী তবিবর রহমান মণ্ডল কলার ছড়ি প্রতীক পেয়েছেন।

বগুড়া-২ আসনে মাহমুদুর রহমান মান্না ধানের শীষ, মো. জামাল উদ্দিন হাতপাখা, শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ লাঙ্গল, মুসলীম লীগের শফিকুল ইসলাম হারিকেন প্রতীক পেয়েছেন।

বগুড়া-৩ আসনে আব্দুল মুহিত তালুকদার ধানের শীষ, অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম তালুকদার লাঙ্গল, আফজাল হোসেন আপেল, আব্দুল

কাদের জিলানী টেলিভিশন, আব্দুল মজিদ ডাব, নজরুল ইসলামর মোটর গাড়ি, লিয়াকত আলী কোদাল ও শাহজাহান আলী তালুকদার হাতপাখা প্রতীক পেয়েছেন।

বগুড়া-৪ আসনে ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছেন মোশারফ হোসেন, নৌকা প্রতীক পেয়েছেন মহাজোটের প্রার্থী জাসদের একেএম রেজাউল করিম তানসেন। এছাড়া আলহাজ ইদ্রীস আলী হাতপাখা, কাজী এমএ কাশেম ফুলের মালা, আয়ুব আলী আম, জীবন রহমান টেলিভিশন প্রতীক পেয়েছেন।

বগুড়া-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ ধানের শীষ, আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবর রহমান নৌকা, জাতীয় পার্টির প্রার্থী তাজ মোহাম্মদ শেখ লাঙ্গল, ইসলামী আন্দোলনের মীর মো. মাহমুদুর রহমান হাতপাখা, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির এনপিপি আব্দুর নূর আম, ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী নজরুল ইসলাম মিনার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রঞ্জন কুমার দে কোদাল, কমিউনিস্ট পার্টির সন্তোষ কুমার পাল কাস্তে, স্বতন্ত্র আব্দুর রউফ মণ্ডল জন মাথাল।

বগুড়া-৬ আসনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ধানের শীষ, নূরুল ইসলাম ওমর লাঙ্গল, আবু নুমান মো. মামুনুর রশীদ হাতপাখা, আমিনুর রহমান টিপু কুঁড়েঘর, আমিনুল ফরিদ কাস্তে, জীবন রহমান টেলিভিশন, ফয়সাল বিন শফিক গোলাপফুল প্রতীক পেয়েছেন।

বগুড়া-৭ আসনে মোরশেদ মিল্টন ধানের শীষ, মুহাম্মদ আলতাফ আলী লাঙ্গল, ফজলুল হক আম, মন্তেজার রহমান কুঁড়েঘর, শহিদুল ইসলামর মই ও শফিকুল ইসলাম পেয়েছেন হাতপাখা।

যশোরে প্রতীক পেলেন ৩৭ প্রার্থী

যশোরের ছয়টি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের ৩৭ জন প্রার্থী নির্বাচনী প্রতীক পেয়েছেন। গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত যশোরের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আওয়াল প্রার্থী ও তাদের প্রতিনিধিদের নির্বাচনী প্রতীক প্রদান করেন।

সকালে যশোর-৩ (সদর) আসনে সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের পক্ষে নৌকা প্রতীক গ্রহণ করেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন। বিএনপি প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের পক্ষে ধানের শীষ প্রতীক সংগ্রহ করেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন।

দুপুরে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আব্দুল আওয়াল বলেন, যশোরের ছয়টি আসনের ৩৭ জন প্রার্থীর সবাই প্রতীক সংগ্রহ করেছেন।

যশোর-১ (শার্শা) আসনে প্রতীকপ্রাপ্তরা হলেন শেখ আফিল উদ্দিন নৌকা, মফিকুল হাসান তৃপ্তি ধানের শীষ, বকতিয়ার রহমান হাতপাখা ও সাজেদুর রহমান গোলাপ ফুল।

যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে মে. জে. (অব.) নাছির উদ্দিন নৌকা, আবু সাঈদ মুহাম্মদ শাহাদৎ হুসাইন (জামায়াত) ধানের শীষ, বিএম সেলিম রেজা (বিজেপি) কাঁঠাল, মো. আসাদুজ্জামান হাতপাখা, মো. আলাউদ্দিন (বাসদ) মই, ফিরোজ শাহ (জাতীয় পার্টি) লাঙ্গল ও এম আছাদুজ্জামান (গণফোরাম) সূর্য।

যশোর-৩ (সদর) আসনে কাজী নাবিল আহমেদ নৌকা, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত-ধানের শীষ, মনিরুজ্জামান গোলাপ ফুল, জাহাঙ্গীর আলম লাঙ্গল, সৈয়দ বিপ্লব আজাদ (জেএসডি) তারা ও মারুফ হাসান কাজল (বিকল্পধারা) কুলা।

যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর) আসনে রণজিত কুমার রায় নৌকা, ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব ধানের শীষ, অ্যাডভোকেট জহুরুল হক লাঙ্গল, লে. ক. (অব.) শাব্বির আহমেদ (বিজেপি) কাঁঠাল, নাজমুল হুদা হাতপাখা, লিটন মোল্যা গোলাপ ফুল, নাজিমুদ্দিন আল আজাদ (বিকল্পধারা) সূর্য ও মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি) আম।

যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনে স্বপন ভট্টাচার্য নৌকা, মুফতি ওয়াক্কাস (জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম) ধানের শীষ, এমএ হালিম লাঙ্গল, নিজামুদ্দিন অমিত (জাগপা) হুক্কা, ইবাদুল ইসলাম খালাসি হাতপাখা, কামরুল হাসান বারী (স্বতন্ত্র) ট্রাক ও রবিউল ইসলাম গোলাপ ফুল।

যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে ইসমাত আরা সাদেক নৌকা, আবুল হোসেন আজাদ ধানের শীষ, আবু ইউসুফ বিশ্বাস হাতপাখা, অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম বাচ্চু লাঙ্গল ও সাইদুজ্জামান গোলাপ ফুল।

বাগেরহাটে আওয়ামী লীগের গণমিছিল

প্রতীক বরাদ্দের পর বাগেরহাট সদর আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী প্রধানমন্ত্রীর ভাতিজা শেখ সারহান নাসের তন্ময় আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। গতকাল দুপুরে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে নৌকা প্রতীক পেয়ে তার সমর্থকরা শহরে গণআনন্দ মিছিল বের করে। কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক প্ল্যাকার্ড ও প্রতীকী নৌকা নিয়ে মিছিলে অংশ নেন। মিছিলে শেখ তন্ময়ের সঙ্গে তার বাবা শেখ হেলাল উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় আওয়ামী লীগের দক্ষিণাঞ্চলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য ও বাগেরহাট-১ আসনের প্রার্থী সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীন বলেন, এবারের নির্বাচনে আমরা বাবা-ছেলে পাশাপাশি দুটি আসন থেকে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। আমার ছেলে শেখ তন্ময়কে বিজয়ী করার দায়িত্ব আপনাদের।

লক্ষ্মীপুরে প্রার্থীদের পথসভার হিড়িক

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে গতকাল সকালে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রতীক পেয়েই জেলার চারটি আসনের হাটবাজারে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের পথসভা ও আনন্দ মিছিলের হিড়িক পড়েছে।

সকালে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রতীক নিতে আসেন লক্ষ্মীপুর-২ (সদর আংশিক-রায়পুর) আসনের মহাজোটর মনোনীত প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির বর্তমান এমপি মো. নোমান- লাঙ্গল। এ সময় জেলা প্রশাসক কার্যালয় এলাকা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে মুখর হয়ে ওঠে। কার্যালয়ের সামনেই আয়োজন করা হয় পথসভার।

এদিকে দুপুরে কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির লক্ষ্মীপুর গোডাউন রোডে নিজ বাসভবনের সামনে নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী সভা করা হয়। শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন।

অন্যদিকে দুপুরে নিজ নির্বাচনী এলাকায়

আসেন বর্তমান বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল। তিনি লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবেন।

এছাড়া দুপুরে লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আনোয়ার খান নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে রামগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে জনসভার করেন। তবে এ আসনে বিএনপি জোট প্রার্থী শাহাদাত হোসেন সেলিমের সমর্থকদের পথসভা কিংবা মিছিল করতে দেখা যায়নি।

লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনে মহাজোটের প্রার্থী আবদুল মান্নান এলাকায় না থাকায় প্রতীক বরাদ্দের দিন কোনো পথসভা করেনি তার সমর্থকরা। তবে পথসভা করেছে বিএনপি জোটের (ঐক্যফ্রন্ট) প্রার্থী আ স ম আবদুর রবের সমর্থকরা। তারা রামগতি বাজার, রামদয়াল বাজার, আলেকজান্ডার বাজার এলাকায় নির্বাচনী পথসভা ও মিছিল করেছে।

প্রচারণায় ফেনীর ২৪ প্রার্থী

ফেনীতে আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের ২৩ প্রার্থীর প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামান। গতকাল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, ফেনী-১ (পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া) আসনে মহাজোট প্রার্থী জাসদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার নৌকা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদল সভাপতি রফিকুল আলম মজনু ধানের শীষ, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ঢাকায় ফেনী সমিতির সভাপতি শেখ আবদুল্লাহ আপেল, খেলাফত আন্দোলন আনোয়ার উল্যাহ ভূঞা বটগাছ, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী সূর্য, বিএনএফ শাহরিয়ার ইকবাল টেলিভিশন, ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী কাজী গোলাম কিবরিয়া হাতপাখা, ইসলামী ফ্রন্ট কাজী মাওলানা নুরুল আলম মোমবাতি ও এনডিএমের তারেকুল ইসলাম হারিকেন প্রতীক পেয়েছেন।

ফেনী-২ (সদর) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন হাজারী নৌকা, সাবেক সংসদ সদস্য খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ভিপি ধানের শীষ, ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী নুরুল করিম বেলালী হাতপাখা, জাকের পার্টির নজরুল ইসলাম গোলাপ ফুল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জসিম উদ্দিন কোদাল প্রতীকে নির্বাচন করবেন।

ফেনী-৩ (সোনাগাজী-দাগনভূঞা) আসনে মহাজোট মনোনীত জাতীয় পার্টির লে. জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী লাঙ্গল, দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপি সভাপতি আকবর হোসেন ধানের শীষ, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবুল বাশার আপেল ও তার ছেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইসতিয়াক আহমেদ সৈকত নোঙ্গর, বাসদ প্রার্থী হারাধন চক্রবর্তী মই, বিএনএফ শাহরিয়ার ইকবাল টেলিভিশন, ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী আবদুর রাজ্জাক হাতপাখা, গোলাম হোসেন বাঘ ও মো. মাঈন উদ্দিন চেয়ার প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেবেন।

নারায়ণগঞ্জে ৩৬ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ

নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গতকাল দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া প্রার্থী ও প্রার্থীদের প্রতিনিধের হাতে প্রতীক তুলে দেন।

এদিকে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই প্রচারণায় নেমেছে প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা। গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলার পাঁচটি সংসদীয় আসনের মোট ৩৬ জন প্রার্থীর হাতে বিভিন্ন প্রতীক তুলে দেয়া হয়।

নারায়ণগঞ্জ-৫ ও ৩ আসনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে লড়বেন একেএম সেলিম ওসমান ও লিয়াকত হোসেন খোকা। বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লাড়বেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য এসএম আকরাম ও আজহারুল ইসলাম মান্নান। তিন আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত সিংহ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়বেন। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়বেন একেএম শামীম ওসমান, ধানের শীষ নিয়ে লড়বেন ২০ দলীয় জোটের শরিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী। নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়বেন নজরুল ইসলাম বাবু ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলাম আজাদ। নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়েবন গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক ও ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়বেন জেলা বিএনপি সভাপতি কাজি মনিরুজ্জামান মনির।

রাজবাড়ীতে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর গণসংযোগ

প্রতীক বরাদ্দের পর রাজবাড়ী-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেছেন। গতকাল এ গণসংযোগ উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নেতাকর্মীরা জড়ো হন। এ সময় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পুনরায় নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে জয়ী করার আহ্বান জানান নেতাকর্মীরা।

অন্যদিকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য ১০ দফা দাবিতে দলীয় জেলা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিএনপি। এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও রাজবাড়ী-১ আসন থেকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম।

বরিশাল-৫ আসনে হাতপাখার প্রচারণা শুরু

নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, শায়েখে চরমোনাই। তিনি বরিশাল-৫ আসনে হাতপাখা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়বেন।

গতকাল বেলা ২টায় বরিশাল নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হল চত্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা শুরু করেন শায়েখে চরমোনাই। এ সময় তিনি লিফলেট বিতরণের পাশাপাশি মানুষের কাছে তাদের ভোট কামনা করেন।

হবিগঞ্জে ২৩ প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ

হবিগঞ্জের চারটি আসনে ২৩ জন প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ নিজ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রতীক বরাদ্দ দেন।

জেলার প্রার্থীরা হচ্ছেন হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) থেকে গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ (নৌকা), ড. রেজা কিবরিয়া (ধানের শীষ), মোহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিক (লাঙ্গল), চৌধুরী ফয়সল শোয়েব (মই), মো. নূরুল হক (গামছা), জুবায়ের আহমেদ (মোমবাতি), হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) থেকে মো. আব্দুল মজিদ খান (নৌকা), মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ (ধানের শীষ), শংকর পাল (লাঙ্গল), মনমোহন দেবনাথ (গামছা), পরেশ চন্দ্র দাশ (আম), আবুল জামাল মসউদ হাসান (হাতপাখা), আফছার আহমদ রূপক (সিংহ), হবিগঞ্জ-৩ (সদর-লাখাই-শায়েস্তাগঞ্জ) থেকে মো. আবু জাহির (নৌকা), জি কে গউছ (ধানের শীষ), মোহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিক (লাঙ্গল), মহিব উদ্দিন আহমেদ সোহেল (হাতপাখা), পীযূষ চক্রবর্তী (কাস্তে), হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) থেকে মাহবুব আলী (নৌকা), আহমদ আবদুল কাদের (ধানের শীষ), শেখ সামছুল আলম (হাতপাখা), সোলায়মান খান রাব্বানী (মোমবাতি), আনছারুল হক (গোলাপ ফুল)।

উল্লেখ্য, হবিগঞ্জ-১ আসনে শেখ সুজাত মিয়া, হবিগঞ্জ-২ আসনে ডা. আবু মনসুর সাখাওয়াত হাসান ও হবিগঞ্জ-৪ আসনে সৈয়দ মো. ফয়সল বিএনপিদলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে প্রত্যাহার না করলেও তাদের কোনো প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়নি।