English Version
আপডেট : ৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১০:২৩

গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যানের ব্যাংকে মাত্র তিন লাখ টাকা !

নিজস্ব প্রতিবেদক
গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যানের ব্যাংকে মাত্র তিন লাখ টাকা !

দেশের অন্যতম বৃহৎ গ্রুপ কোম্পানি গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান সাংসদ গোলাম দস্তগীর গাজীর ব্যাংকে মাত্র তিন লাখ ১৯ হাজার ৫২২ টাকা রয়েছে। তবে তার হাতে নগদ টাকার পরিমান ৮ কোটি ১১ লক্ষ ২৫ হাজার ৮শ ৮৮ টাকা।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা হলফ নামায় এমন তথ্য উল্লেখ করেছেন নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের এই সাংসদ। তার হলফ নামা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, তার নিজের কোন বাড়ি নেই, তবে গাড়ী আছে। নিজের নামে বন্ড, ঋণপত্র, ও বিভিন্ন কোম্পানীর শেয়ার রয়েছে। যার মূল্য ৩২ কোটি ৫৫ লক্ষ ৯৯ হাজার ৩১৯ টাকা। ১ কোটি ৯৩ লক্ষ ১৩ হাজার ৫৫৭ টাকা মূল্যের মটর যানের মালিক তিনি। তার নামে অলংকার রয়েছে ১ লক্ষ ২৪ হাজার টাকার।

তার নামে থাকা ইলেক্ট্রনিক সামগ্রীর মূল্য ১৬ লক্ষ ২০ হাজার টাকা, ১৫ লক্ষ টাকার আসবাব, অন্যান্য সম্পত্তি ৬৯৬ কোটি ০৭ লক্ষ ৬৪ হাজার ৮৫৩ টাকাঅ

তার নামে থাকা মোট স্থাবর সম্পত্তির পরিমান দাঁড়ায় ৭৩৯ কোটি ৩ লাখ ৬৭ হাজার ১৩৯ টাকা।

অকৃষি জমি ও অর্জনকালীন সময়ের আর্থিক মূল্য ৫৯ কোটি ৭৯ লক্ষ ৮১ হাজার ৪৫৮ টাকা, দালান (আবাসিক বা বানিজ্যিক ) ১০ কোটি ৩৭ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা অর্থাৎ মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমান হলো ৭০ কোটি ১৭ লক্ষ ১১ হাজার ৪৫৮ টাকা।

স্থাবর এবং অস্থাবর মিলিয়ে গাজীর মোট সম্পত্তির পরিমান হলো ৮০৯ কোটি ২০ লক্ষ ৭৮ হাজার ৫৯৭ টাকা। এই টাকার বীপরীতে তার দায় আছে ৫৮১ কোটি ২০ লক্ষ ৯৬ হাজার ৫১৪ টাকা, এবং ঋণ আছে ৫৭৮ কোটি ৮৮ লক্ষ ২৬ হাজার ৯৬ টাকা

দায়

১০ জাতীয় নির্বাচনে হলফনামায় উল্লেখ করেছিলেন যে, তার দায়ের পরিমান ২৫৭ কোটি ৩৩ লক্ষ ৮০ হাজার ৭৭৫ টাকা এবং এবং ১১দশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তা বেড়ে ৫৮১ কোটি ২০ লক্ষ ৯৬ হাজার ৫১৪ টাকা দাড়িয়েছে।

ঋণ

১০ জাতীয় নির্বাচনে হলফনামায় উল্লেখ করেছিলেন যে, তার ঋণের পরিমান ২৪৭ কোটি ৩১ লক্ষ ৭৮ হাজার ২৮৯ টাকা এবং এবং ১১দশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তা বেড়ে ৫৭৮ কোটি ৮৮ লক্ষ ২৬ হাজার ৯৬ টাকা

নারায়ণগঞ্জ- ১ আসনের সাংসদ গোলাম দস্তগীর গাজী। তিনি ২০১৪ সালে স্বতন্ত্র প্রাথী শওকত আলীর সাথে প্রতিদ্বন্ধতা করে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৩৫৯ ভোট পেয়ে পাস করেছিলেন। তার নিকটকম প্রতিন্ধী স্বতন্ত্র প্রাথী শওকত আলী পেয়েছেন ৬ হাজার ৬৯৮ ভোট। উল্লেখ্য যে, ১০ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি। তিনি আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন।

এবার ১১দশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার প্রতিন্ধী প্রার্থী হিসেবে আছেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার, জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জ্বামান এবং মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূইয়া। যদিও ৮ ডিসেম্বর এর আগে বিএনপি তাদের প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন।