English Version
আপডেট : ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০৯:১২
সূত্র:

সারা দেশে বাদ পড়েছেন ৭৮৬ জন

সারা দেশে বাদ পড়েছেন ৭৮৬ জন

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে ২ হাজার ২৭৯ জন প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আর বাতিল হয়েছে ৭৮৬ জনের মনোনয়নপত্র। দেশের প্রতিটি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে গতকাল এ তথ্য জানিয়েছে ইসি।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অনেক হেভিওয়েট প্রার্থীও রয়েছেন মনোনয়ন বাতিল হওয়াদের তালিকায়। ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন খালেদা জিয়া। গতকাল যাচাই-বাছাইকালে তার সব মনোনয়নপত্রই বাতিল করেছেন এ দুই জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা। এর পেছনে তার দুই বছরের অধিক সাজা হওয়াকে কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। ঋণখেলাপি দেখিয়ে মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর। একই কারণে বাদ পড়েছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার ও বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীও। এছাড়া সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খান, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস ও  সাবেক অর্থমন্ত্রী এসএএমএস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া, কুমিল্লা-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী কেএম মজিবুল হকের মনোনয়নপত্রও বাতিল হয়েছে।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, ৩৫টি আসনে কোনো প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়নি। ২৬৫টি আসনে এক বা একাধিক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। সর্বোচ্চ বাতিল হয়েছে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে। এখানে ১৩টি মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। জমা পড়েছিল ২৩টি মনোনয়নপত্র।

যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে, তারা রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৩-৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন। নির্বাচন কমিশন শুনানি করে আপিল নিষ্পত্তি করবে ৬-৮ ডিসেম্বর। এছাড়া যাদের আবেদন বৈধ হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা নির্বাচন কমিশনে প্রমাণসহ আপিল করতে পারবেন। নির্বাচন কমিশনে শুনানিতে প্রার্থীর আইনজীবী বক্তব্য প্রদানের সুযোগ পাবেন। ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১০

ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ করবে নির্বাচন কমিশন। ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা: ঢাকা মহানগরের ২০টি আসনের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুজন ও বিএনপির ১২ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। ঋণখেলাপি থাকার কারণে এসব মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে যাদের ১ শতাংশ ভোটারের তথ্য সঠিক ছিল না তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

গতকাল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে মহানগরীর ৪-১৮ নম্বর আসনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের কার্যক্রম চলে। আর ঢাকা মহানগরের বাইরের পাঁচটি আসনের মনোনয়নপত্র বাছাই হয় ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে। বিএনপির যেসব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে, তারা হলেন ঢাকা-৫ আসনের সেলিম ভুইয়া, ঢাকা-৭ আসনের নাসিমা আক্তার কল্পনা, ঢাকা-৯ আসনের আফরোজা আব্বাস, ঢাকা-১৪ আসনের আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে সাজু খালেক, ঢাকা-১৬ আসনের মোয়াজ্জেম হোসেন ও ঢাকা-১৭ আসনের শওকত আজিজ। আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাতিলের তালিকায় রয়েছেন ঢাকা-৪ আসনের নাজমুল হোসেন ও ১৭ আসনে রুবেল আজিজ। এছাড়া তৃণমূল বিএনপি নেতা ও সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ঢাকা-১৭ আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। তিনি দলীয় প্রার্থী, নাকি স্বতন্ত্র, তা মনোনয়নপত্রে উল্লেখ করেননি। এ কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগরের বাইরের পাঁচ আসনের মধ্যে ঢাকা-১ আসনে বিএনপি প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান পদে থেকে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় আবু আশফাক ও ফাহিমা হোসেন জুবলির মনোনয়নপত্রে মহাসচিবের স্বাক্ষরে গরমিল থাকায় বাতিল করা হয়েছে। ঢাকা-২ আসনে বিএনপি প্রার্থী আমান উল্লাহ আমানের ১০ বছর কারাদণ্ড হওয়ায় তার প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। আর তথ্যগত ভুল থাকায় ঢাকা-৩ আসনে গণফোরাম মনোনীত মোস্তফা মহসীন মন্টুর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। ঢাকা-১৯ আসনে করখেলাপির অভিযোগে বিএনপির কফিলউদ্দিনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয় এবং ঢাকা-২০ আসনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে থেকে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বিএনপির তমিজউদ্দিন এবং ঋণখেলাপি ও আয়কর জমা না দেয়ায় বিএনপির সুলতান আহমেদের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়।

বগুড়া: বগুড়ার সাতটি আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ২৫ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। গতকাল যাচাই-বাছাইকালে জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন। মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন বগুড়া-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ টিপু সুলতান ও আবদুল মান্নান মিয়া, বগুড়া-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আ.লীগ নেতা আবুল কাশেম ফকির ও মোস্তাফিজার রহমান, বগুড়া-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মজিদ, তাজ উদ্দিন মন্ডল ও বিএনপির প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মহিত তালুকদার, বগুড়া-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক জাহিদুর রহমান, আহসানুল হক, আশরাফুল আলম হিরো আলম, ইউনুছ আলী মন্ডল, আ.লীগ নেতা কামাল উদ্দিন কবিরাজ, জামায়াত নেতা মাওলানা তায়েব আলী, বগুড়া-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী তহমিনা জামান হিমিকা, বিকল্পধারার মাহবুব আলী, উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জামায়াত নেতা দবিবুর রহমান, বগুড়া সদর-৬ আসনে পৌর মেয়র বিএনপির প্রার্থী অ্যাডভোকেট মাহবুবর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও জাকের পার্টির ফয়সাল বিন শফিক, বগুড়া-৭ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, আ.লীগ নেতা ডা. মোস্তফা আলম নান্নু, বিএনপির প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান মোরশেদ মিলটন ও সরকার বাদল, স্বতন্ত্র প্রার্থী ফেরদৌস আরা খান, রেজাউল করিম বাবলু ও জাসদ প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক।

গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জে তিনটি সংসদীয় আসনে ৩ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। তারা হলেন গোপালগঞ্জ- ১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শামছুল আলম খান চৌধূরী, গোপালগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থী এসএম জিলানী ও জাতীয় পার্টির এ জেড অপু শেখ। শামছুল আলম খান চৌধূরীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর সঠিকভাবে না থাকায়। শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ দাখিল না করা ও কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষরবিহীন আয়কর রিটার্ন দাখিলের কারণে বাতিল হয়েছে এসএম জিলানীর প্রার্থিতা। এছাড়া শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ প্রদান না করা এবং সমর্থনকারী সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার না হওয়ায় বাতিল হয়েছে জাতীয় পার্টির এ জেড অপু শেখের মনোনয়নপত্র।

বাগেরহাট: বাগেরহাটের চারটি আসনে তিনজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। ঋণখেলাপি, মনোনয়নপত্র পূরণে ত্রুটি ও সম্পদের হিসাব বিবরণীতে স্বাক্ষর না থাকার কারণে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তারা হলেন বাগেরহাট-১ আসনে জাতীয় পার্টির এসএম আল জোবায়ের, বাগেরহাট-২ আসনে জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান এবং বাগেরহাট-৪ আসনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মো. আমিনুল ইসলাম খান।

বান্দরবান: পার্বত্য জেলা বান্দরবানের একমাত্র সংসদীয় আসনটিতে নয়জনের মধ্যে ছয়জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। উপযুক্ত কাগজপত্র জমা ও সত্য তথ্য না দেয়ার কারণে তাদের প্রার্থিতা বাতিল হয় বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম। মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন জেলা বিএনপির সভাপতি মাম্যাচিং, ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মো. বাবুল হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মীপদ দাশ, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম সুলতানা, ডনাইপ্রু নেলী ও নাথানা বম।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: প্রয়োজনীয় ভোটার তালিকা জমা না দেয়া ও স্বাক্ষর ত্রুটি প্রমাণিত হওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নবাব মো. শামসুল হুদা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মুহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস ও খুরশিদ আলম বাচ্চু, স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈয়ব আলী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী (জামায়াত) ইয়াহিয়া খালেদের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে বলে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

কুমিল্লা: কুমিল্লার ১১টি সংসদীয় আসনের মোট ৩৬ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। ঋণখেলাপি, কাগজপত্র সঠিক না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয় বলে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনে বিএনপির প্রার্থী কেএম মুজিবুল হকের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এ আসনে আওয়ামী লীগের মূল প্রার্থী ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন। তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বিএনপির প্রার্থী মুজিবুল হক জানান, তিনি প্রয়োজনীয় সব তথ্য দিয়েই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। নির্বাচন কমিশন টিন সার্টিফিকেট নেই বলে তার ফরম বাতিল করেছে। এটি ষড়যন্ত্রের অংশ। আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইউসুফ হারুন তার বিজয় সুনিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগসাজশ করে আমার ফরম বাতিল করিয়েছেন। মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া অন্য প্রার্থীরা হলেন কুমিল্লা-১ আসনে মো. আলতাফ হোসাইন (ইসলামী ঐক্যজোট), বাশির আহমেদ (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ), সৈয়দ ইফতেকার আহসান (জাতীয় পার্টি), কুমিল্লা-২ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবদুল মজিদ, মো. মনোয়ার হোসেন (স্বতন্ত্র), মো. রবিউল ইসলাম (স্বতন্ত্র), বড়ুয়া মনোজিত ধীমন (জাসদ), মো. সারোয়ার হোসেন (স্বতন্ত্র), কুমিল্লা-৩ আসনে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার (স্বতন্ত্র) ও তার ছেলে আহসানুল আলম কিশোর (স্বতন্ত্র), মো. নজরুল ইসলাম (এনপিপি), সৈয়দ মোস্তাক আহমেদ (বাংলাদেশ মুসলিম লীগ), কাজী জুন্নুন বসরী (স্বতন্ত্র), মোহাম্মদ আনিসুর রহমান (জাগপা), মো. দেলোয়ার হোসেন (স্বতন্ত্র), মো. গোলাম কিবরিয়া (স্বতন্ত্র), মো. আকবর আমিন বাবুল (গণফোরাম)।

কুমিল্লা-৪ আসনে মো. আবুল কালাম আজাদ (স্বতন্ত্র), মো. রুহুল আমিন (স্বতন্ত্র), রেজভিউল আহসান মুন্সী (স্বতন্ত্র), ইরফানুল হক সরকার (স্বতন্ত্র), মো. মাহবুবুল আলম (স্বতন্ত্র), কুমিল্লা-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক এমপি মো. ইউনুস, মো. আবুল কালাম ইদ্রিস (স্বতন্ত্র), শেখ আবদুল বাতেন (গণফোরাম), মো. শাহ আলম (ইসলামী ঐক্যজোট), কুমিল্লা-৬ আসনে বিএনপির সৈয়দ গোলাম মহিউদ্দিন, কুমিল্লা-৮ (বরুড়া) আসনে কায়সার আলম সেলিম (স্বতন্ত্র), কুমিল্লা-৯ আসনে মো. ইসমাইল (স্বতন্ত্র), মো. ফয়েজ উল্ল্যাহ (স্বতন্ত্র), এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী (স্বতন্ত্র), কুমিল্লা-১০ আসনে বিএনপির প্রার্থী মো. আবদুল গফুর ভূঁইয়া, মো. আবুল কালাম আজাদ (বাংলাদেশ মুসলিম লীগ), মো. রুহুল আমিন চৌধুরী (স্বতন্ত্র) এবং কুমিল্লা-১১ আসনে তাজুল ইসলাম বাবুলের (জাকের পার্টি) মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

ফরিদপুর: ফরিদপুরের চারটি আসনে ৪১ জন প্রার্থীর মধ্যে ২১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া। ফরিদপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুজ্জামান মৃধা লিটন ও কামরুন্নাহার, বিএনএফের কামরুল ইসলাম, জাসদের হারুন-অর-রশীদ এবং জাতীয় পার্টির মো. আক্তারুজ্জামানের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

ফরিদপুর-২ সংসদীয় আসনে সাতজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে বাংলাদেশের কমিউিনিস্ট পার্টির (সিপিবি) প্রার্থী হাফিজুর রহমানের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এ বিষয়ে সিপিবির এ প্রার্থী বলেন, নগরকান্দায় এক ব্যক্তি ব্র্যাক ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। আমি তার জামিনদার হয়েছিলাম। ওই ব্যক্তি ঋণ শোধ না করায় আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আমি রিটার্নিং কর্মকর্তার এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করব।

ফরিদপুর-৩ সংসদীয় আসনে মোট ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে স্বতন্ত্র পাঁচজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। তারা হলেন মোহাম্মদ রুহুল আমিন, এমএ মুঈদ হোসেন খান, মো. বনি আমিন, মীর নিজাম আলী ও মো. ওবায়দুর রহমান।

ফরিদপুর-৪ সংসদীয় আসনে দাখিল করা ১৪ জনের মধ্যে ১০ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. আবদুল লতিফ মিয়া, জাকের পার্টির মুহাম্মদ মশিউর রহমান জাদু মিয়া, সিপিবির আতাউর রহমান, ইসলামী আন্দোলনের আব্দুল হামিদ মিয়া এবং স্বতন্ত্র কাজী হেদায়েতউল্লাহ সাকলাইন, ফিরোজ কবির চৌধুরী, শাহ্ মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. ইছাহাক মিয়া, এনামুল হক ও কাজী জাফর।

যশোর: যশোরের ছয়টি আসনে ২৬ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন যশোর-১ আসনে জাকের পার্টির সাজেদুর রহমান, স্বতন্ত্র মাওলানা আজীজুর রহমান, যশোর-২ আসনে মুহাম্মদ মহিদুল ইসলাম, স্বতন্ত্র এবিএম আহসানুল হক, ইসলামী ঐক্যজোটের (নেজামী) শহিদুল ইসলাম ইনসাফী, বিএনএফের আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, জাতীয় পার্টির ফিরোজ শাহ, গণফোরামের মেজর (অব.) আসাদুজ্জামান, বিএনপির সাবিরা সুলতানা, যশোর-৩ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মফিজুল আলম, জেএসডির বিপ্লব আজাদ, বিএনএফের প্রশান্ত বিশ্বাস, বিকল্পধারার মারুফ হাসান কাজল, স্বতন্ত্র শাহীন চাকলাদার, যশোর-৪ আসনে এনপিপির মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, বিকল্পধারার নাজিমউদ্দিন আল আজাদ, জাকের পার্টির লিটন মোল্লা, যশোর-৫ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ইবাদুল ইসলাম খালাসী, জাকের পার্টির রবিউল ইসলাম, স্বতন্ত্র মোহাম্মদ মুসা, জাগপার নিজামুদ্দিন অমিত, স্বতন্ত্র কামরুল হাসান বারি, যশোর-৬ আসনে জাকের পার্টির প্রভাষক সাইদুজ্জামান, স্বতন্ত্র নূরুল ইসলাম, বিএনএফের প্রশান্ত বিশ্বাস এবং স্বতন্ত্র শাহীন চাকলাদার।

ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের চারটি আসনে ১৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন ঝিনাইদহ-১ আসনে আব্দুল ওহাব (বিএনপি) ও আবু বকর (স্বতন্ত্র), ঝিনাইদহ-২ আসনে মসিউর রহমান (বিএনপি), আব্দুল মজিদ (বিএনপি), আবু তালেব সেলিম (জাকের পার্টি), ইউসুফ পারভেজ (স্বতন্ত্র), মীর রবিউল ইসলাম (স্বতন্ত্র), ঝিনাইদহ-৩ আসনে ইসমাইল হোসেন (বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি), কামরুজ্জামান স্বাধীন (জাতীয় পার্টি), ঝিনাইদহ-৪ আসনে ফনী ভূষণ রায় (সিপিবি), মো. ওয়াদুদুর রহমান (বিএনএফ), কামরুল ইসলাম (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), জহুরুল ইসলাম (স্বতন্ত্র) ও আব্দুল মান্নান (আওয়ামী লীগ)।

খুলনা: খুলনার ছয়টি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন মোট ৫১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে চারজনের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। যাচাই-বাছাইয়ে মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা হওয়া প্রার্থীরা হলেন খুলনা-২ আসনের জাতীয় পার্টির এসএম এরশাদুর জামান ডলার, খুলনা-৬ আসনে বিএনপির এসএম শফিকুল আলম মনা, স্বতন্ত্র প্রার্থী সুব্রত কুমার বাইন ও মো. আব্দুল কাদের।

কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের ছয়টি আসন থেকে ২১ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। কিশোরগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম শরীফ ও খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, জাতীয় পার্টির মোস্তাকিম বিল্লাহ, বিকল্পধারার প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মো. ইউসুফ ও জেএসডির (রব) অ্যাডভোকেট আবদুর রহমানের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। কিশোরগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান, গণতান্ত্রিক রিপাবলিকান পার্টির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য আনিসুজ্জামান খোকন, সিপিবির মো. নুরুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির এরশাদ হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী লুত্ফুর রহমান, মো. সালাউদ্দিন রুবেল ও মীর আবু তৈয়ব মো. রেজাউল করিম, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির সাইফুল ইসলাম সুমন, সিপিবির এনামুল হক ইদ্রিছ, স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুজ্জামান নয়ন, ড. মিজানুল হক, প্রিন্সিপাল আম্মান খান, কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপি প্রার্থী সুরঞ্জন ঘোষ, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে জাতীয় পার্টির সেলিনা সুলতানা, কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট আইয়ুব হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মুছা খানের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে ১৯ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। এর মধ্যে রয়েছেন কুড়িগ্রাম-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার ও আওয়ামী লীগের মো. জাকির হোসেন, কুড়িগ্রাম-৩ আসনে বিএনপির আব্দুল খালেক। মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া ১৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৩ জনই স্বতন্ত্র।

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে ছয়জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ঋণখেলাপি হওয়ায় লক্ষ্মীপুর-১ আসনের বর্তমান এমপি লায়ন এমএ আউয়াল (জাকের পার্টি) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মাহবুব আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। ভোটার তালিকায় স্বাক্ষরে মিল না থাকার অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-২ আসনে জেলা জামায়াতের আমির রুহুল আমিন ভূঁইয়া (স্বতন্ত্র) ও জেলা বিএনপির সদস্য আবুল ফয়েজ ভূঁইয়ার (স্বতন্ত্র) মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বর্তমান দায়িত্ব থাকায় লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের খালেদ সাইফুল্লাহর (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ) মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এছাড়া কাগজপত্র সঠিক না থাকায় একই আসনের আব্দুল মতিনের (স্বতন্ত্র) মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের তিনটি আসনে ২৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। গতকাল যাচাই-বাছাই শেষে পাঁচজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন লালমনিরহাট-১ আসনে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী আবু হেনা মো. এরশাদ হোসেন সাজু (স্বতন্ত্র), কাতার প্রবাসী হাবীব মো. ফারুক (স্বতন্ত্র), লালমনিরহাট-২ আসনে জাহাঙ্গীর আলম (বিএনপি), লালমনিরহাট-৩ আসনে একেএম মাহবুবুল আলম প্রামাণিক (স্বতন্ত্র) ও শামীম আহমেদ চৌধুরী (স্বতন্ত্র)।

রাজবাড়ী: রাজবাড়ীর দুটি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির মোট ১৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। গতকাল যাচাই-বাছাই শেষে দুজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। তারা হলেন রাজবাড়ী-১ আসনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী নাজমুল হক খান এবং রাজবাড়ী-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নুরুদ্দিন মিয়া।

মেহেরপুর: মেহেরপুুরের দুটি আসনে মোট ১০ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। মেহেরপুর-১ আসনে ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে পাঁচজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আতাউল গনি। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না থাকায় বাতিল করা হয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলামের মনোনয়নপত্র। ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর না থাকায় বাতিল করা হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান ও সমর্থনকারীর স্বাক্ষর জাল প্রমাণিত হওয়ায় বাতিল হয়েছে বিএনপি নেতা আব্দুর রহমানের মনোনয়নপত্র। মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে ১৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। দলীয় মনোনয়ন না থাকায় বাতিল করা হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক, সাবেক পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মকলেছুর রহমান মকুল, জেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক নুরজাহান বেগম ও জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখনের মনোনয়নপত্র।

মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের চারটি আসনে মোট ২৮ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে পাঁচজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। তারা হলেন মৌলভীবাজার-১ আসনে সাবেক প্রতিমন্ত্রী বিএনপির এবাদুর রহমান চৌধুরী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল ইসলাম, মৌলভীবাজার-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিবুল কাদির চৌধুরী, মৌলভীবাজার-৩ আসনে বিএনএফের আশা বিশ্বাস ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ মুসাব্বির।

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ জেলার ১১টি সংসদীয় আসনে ৩৪ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন ময়মনসিংহ-১ আসনে আনোয়ার হোসেন, ময়মনসিংহ-২ মো. এমদাদুল হক খান (জাপা), আবু বক্কর সিদ্দিক (স্বতন্ত্র) ও আবুল বাশার আকন্দ (বিএনপি), ময়মনসিংহ-৩ আসনে আবদুল মতিন (ন্যাপ), আহাম্মেদ তাইয়েবুর রহমান হিরণ (বিএনপি), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আলী আহাম্মেদ খান পাঠান সিলভী, নাজনীন আলম, শরীফ হাসান অনু, মুর্শেদুজ্জামান সেলিম, মতিউর রহমান, একেএম আব্দুর রফিক, গোলাম মোস্তফা, ড. সামিউল আলম লিটন, ময়মনসিংহ-৪ আসনে আবু সাঈদ মহিউদ্দিন (স্বতন্ত্র), কামরুল ইসলাম মোহাম্মদ ওয়ালিদ (বিএনপি), ময়মমসিংহ-৫ আসনে জহিরুল ইসলাম (জাকের পার্টি), সোহেল মিয়া (কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ), আমজাদ হোসেন (খেলাফত আন্দোলন), ময়মমসিংহ-৬ আসনে চৌধুরী মোহাম্মদ ইসহাক (জেএসডি), ময়মনসিংহ-৭ আসনে জয়নাল আবেদীন (বিএনপি) ও এমএ রাজ্জাক (স্বতন্ত্র), ময়মনসিংহ-৮ আসনে এমএ বাশার (এলডিপি), রুহুল আমিন (বিএনপি), মাহমুদ হাসান সুমন (স্বতন্ত্র), হাবিবুল্লাহ (ইশা আন্দোলন) ও এমএ রাজ্জাক, ময়মনসিংহ-৯ আসনে আব্দুল কাদির (স্বতন্ত্র), মো. শহিদুল্লাহ (স্বতন্ত্র) ও আলমগীর কবির (কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ), ময়মনসিংহ-১০ আসনে ওয়াদুল্লাহ আনোয়ার বুলবুল, মজিবুর রহমান ও ক্বারী হাবিবুল্লাহ বেলালী, ময়মনসিংহ-১১ আসনে অ্যাডভোকেট আশরাফুল হক জজ (স্বতন্ত্র) ও আমান উল্লাহ সরকার (ইশা আন্দোলন)।

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি সংসদীয় আসনে ১৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। তারা হলেন নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী রেহান আফজাল ও জাকের পার্টির মাহফুজুল ইসলাম ভূঁইয়া, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু হানিফ হূদয়, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির অনন্যা হুসেইন মৌসুমী, বিএনএফের শাহাবুদ্দিন ভূঁইয়া, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপির সাবেক সাংসদ মুহম্মদ গিয়াসউদ্দিন ও তার ছেলে গোলাম মুহাম্মদ কায়সার ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ।

নাটোর: নাটোরে মোট ছয়জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তারা হলেন নাটোর-১ আসনে সাম্যবাদী দলের বীরেন্দ্রনাথ সাহা, নাটোর-২ আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, নাটোর-৪ আসনে মুসলিম লীগের শান্তি রিবেরু, জাসদের (ইনু) রনি পারভেজ, জাতীয় পার্টির আলাউদ্দিন মেধা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী দোলেয়ার হোসেন খান।

নেত্রকোনা: নেত্রকোনা জেলার পাঁচটি আসনের ১২ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন জেলা রিটার্নিং অফিসার। মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন নেত্রকোনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের মো. এরশাদুর রহমান ও শাহ্ কুতুব উদ্দিন তালুকদার, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মো. নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আব্দুল কাইয়ুম খান, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) এমএ করিম আব্বাসী ও জাকের পার্টির মোস্তফা জামান আব্বাস, নেত্রকোনা-২ আসনে জাতীয় পার্টির রহিমা আকআর আসমা সুলতানা, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. এজাজুল হক, নেত্রকোনা-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আহমেদ, নেত্রকোনা-৫ আসনে বিএনপির মো. আবু তাহের তালুকদার ও রাবেয়া খাতুন, স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকির হোসেন তালুকদার।

নোয়াখালী: নোয়াখালীর ছয়টি সংসদীয় আসনে ১১ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। তারা হলেন নোয়াখালী-৪ আসনে বিএনপির শাহীনুর বেগম, স্বতন্ত্র প্রার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস, নোয়াখালী-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইকবাল উদ্দিন রাশেদ ও সাইফুদ্দিন আহম্মেদ, নোয়াখালী-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম সাইফুর রহমান, আফতাব উদ্দিন, আবু বকর ছিদ্দিক, বিএনপির শামীমা বরকত ও আ.লীগের আক্তার হোসেন ফয়সাল, নোয়াখালী-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঞা ও নোয়াখালী-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোজাহেদ হোসেন।

রংপুর: রংপুরের ছয়টি আসনে ১৪ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। তারা হলেন রংপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবলু, স্বতন্ত্র প্রার্থী সিএম সাদিক, আলী মোহাম্মদ আলমগীর, রংপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বিশ্ব নাথ বিটু, জাসদের (ইনু) কুমারেশ রায়, রংপুর-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুল হক ফুলু সরকার, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজমুল হক, রংপুর-৪ আসনে জাতীয় পার্টির মোস্তফা সেলিম বেঙ্গল, বিএনপির আমিনুল ইসলাম রাঙ্গা, রংপুর-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হালিম মন্ডল, বিএনপির ডা. মমতাজ আলী ও শাহ সোলাইমান ফকির, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোছা. মওদুদা আক্তার ও রংপুর-৬ আসনে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন প্রার্থী বেলাল হোসেন।

সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার চারটি আসনে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী ৩৮ জন প্রার্থীর মধ্যে সাতজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। তারা হলেন সাতক্ষীরা-১ আসনে আওয়ামী লীগ নেতা বিএম নজরুল ইসলাম, বিশ্বজিৎ সাধু, ন্যাপের মো. হায়দার আলী, স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম মুজিবুর রহমান ও নুরুল ইসলাম ইসলাম, সাতক্ষীরা-২ আসনে জেএসডির আফসার আলী ও সাতক্ষীরা-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী খলিলুর রহমান।

ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁও-১ আসনে জাকের পার্টির প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোপাল চন্দ্র রায়, আব্দুল জলিল, রাজেন্দ্র নাথ রায় ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের এসএম খলিলুর রহমানের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

নওগাঁ: নওগাঁয় নয়জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। এছাড়া একজন প্রার্থী তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন নওগাঁ-১ আসনে আবু হেনা মোস্তফা কামাল, নওগাঁ-২ আসনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক সহসম্পাদক ড. ইঞ্জিনিয়ার আখতারুল আলম (স্বতন্ত্র), আব্দুর রউফ মান্নান (বিকল্পধারা), মতিবুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), নওগাঁ-৪ আসনে আব্দুর রাকিব (স্বতন্ত্র) ও আফজাল হোসেন (স্বতন্ত্র), নওগাঁ-৫ আসনে নাজমুল হক সনি (বিএনপি) ও ইফতারুল আলম বকুল (জাপা) এবং নওগাঁ-৬ আসনে আনোয়ার হোসেন হেলাল (স্বতন্ত্র)। নওগাঁ-৪ আসন থেকে জেলা আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল বাকী প্রত্যাহার করে নেন।

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনে মোট ৪৪ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী, গিয়াস কাদের চৌধুরী, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, শামসুল আলম ও এম মোরশেদ খানের মতো হেভিওয়েট প্রার্থীরাও রয়েছেন।

চট্টগ্রাম-৪ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী। ঋণখেলাপি হওয়ায় গতকাল দুপুরে যাচাই-বাছাইয়ে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) ও চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসন থেকে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও তার ছেলে সামির কাদের চৌধুরী চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। ঋণখেলাপির অভিযোগে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন রায় বলেন, আসলাম চৌধুরী ২৭টি ব্যাংকে ঋণখেলাপি। সেজন্য তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম-১ আসনে বিএনপি প্রার্থী শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, রেজাউল করিম (স্বতন্ত্র) ও মোহাম্মদ মোশারফ হোসেনের (স্বতন্ত্র) মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া অন্য প্রার্থীরা হলেন চট্টগ্রাম-২ আসনে জাকের পার্টির প্রার্থী আবদুল হাই, চট্টগ্রাম-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী মোস্তফা কামাল পাশা ও জাসদের (ইনু) মো. আবুল কাশেম, চট্টগ্রাম-৪ আসনে বিএনপির একেএম আয়ু তাহের, সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল বাকের ভুঁইয়া (স্বতন্ত্র প্রার্থী), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সামছুল আলম হাসেম, চট্টগ্রাম-৫ আসনে বিএনপি প্রার্থী মীর মো. নাসির উদ্দিন ও তার ছেলে মীর মো. হেলাল উদ্দিন, এম মাহমুদুল আলম (তৃণমূল বিএনপি), মো. নাসির উদ্দিন (স্বতন্ত্র), চট্টগ্রাম-৭ আসনে বিএনপির মো. আব্দুল আলিম ও আবু আহমেদ হাসনাত, চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খান ও এরশাদ উল্লাহ, মোহাম্মদ কামাল পাশা (ন্যাশনাল পার্টি), আব্দুল মোমিন (স্বতন্ত্র) ও মো. শরীফ উদ্দিন (স্বতন্ত্র) , চট্টগ্রাম-৯ আসনে নগর বিএনপির সহসভাপতি সামসুল আলম ও দুলাল খান (ইসলামিক জোট), চট্টগ্রাম-১০ মো. ওসমান খান, চট্টগ্রাম-১১ আসনে লোকমান সওদাগর (ইসলামিক আন্দোলন), মো. খোশাল খান (এনপিপি), মো. জসিম উদ্দিন (জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল), জানে আলম (গণফোরাম), আবু সাঈদ (স্বতন্ত্র), ওমর হাজ্জাজ (স্বতন্ত্র), মুনতাসির কাদের (স্বতন্ত্র), চট্টগ্রাম-১২ আসনে এলডিপি প্রার্থী এম ইয়াকুব আলী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবু তালেব হেলালী, চট্টগ্রাম-১৩ বিএনএফ প্রার্থী নারায়ণ রক্ষিত ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ জামাল আহমেদ, চট্টগ্রাম-১৪ আসনে তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মনিরুল ইসলাম, মো. শাহজাহান ও মো. জসিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম-১৫ আসনে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর সাদেক ও আব্দুল জব্বার এবং চট্টগ্রাম-১৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জহিরুল ইসলাম।