English Version
আপডেট : ৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০৯
সূত্র:

হাজী সেলিমের মনোনয়নপত্রের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন

হাজী সেলিমের মনোনয়নপত্রের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন

ঢাকা-৭ (লালবাগ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাজী মো. সেলিমের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করলেও তার প্রার্থীতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানিয়েছেন, অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের দায়ে ২০০৮ সালে ঢাকার বিচারিক আদালত হাজী মো. সেলিমকে ১৩ বছর কারাদণ্ড দেন। ওই দণ্ডের বিরুদ্ধে এখনো হাইকোর্টে তার আপিল বিচারাধীন রয়েছে। তবে তার সাজা স্থগিত কীনা-নথিপত্র না দেখে বলা যাচ্ছে না।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আদেশ অনুযায়ী ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি দুই বছরের বেশি দণ্ডিত ও সাজাপ্রাপ্ত হলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করলেও প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পাবেন না, যতক্ষণ পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে দণ্ড বাতিল না হয়।

হাইকোর্টের এ আদেশ আপিল বিভাগ বহাল রেখেছেন। দুদকের আইনজীবী বলেন, সর্বোচ্চ আদালতের রায় মানা সবার জন্য বাধ্যকর। রায় অনুযায়ী, দণ্ডপ্রাপ্ত কেউ আপিল করলেই নির্বাচনে অংশ নেয়ার কোন সুযোগ নেই।

জানা গেছে, অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী মো. সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় দুদক মামলা করে।

এ মামলায় ২০০৮ সালে বিচারিক আদালত হাজী সেলিমকে দোষী সাব্যস্ত করে ১৩ বছর কারাদণ্ড দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাজী মো. সেলিমকে খালাস দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট।

পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যায় দুদক। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল করে আদেশ দেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।

একইসঙ্গে দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতে দণ্ডিত সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের আপিল পুনঃশুনানির নির্দেশ আসে আপিল বিভাগ থেকে।

হাজী মো. সেলিম দশম জাতীয় সংসদের সদস্য। তখন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হয়ে এমপি নির্বাচিত হন তিনি।

উল্লেখ্য, একাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা বিভাগীয় রিটার্নিং কমিশনার কেএম আলী রোববার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন।

একইসঙ্গে এই আসনের ১৯ জনের মধ্যে চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। তার হলেন, বিএনপি প্রার্থী নাসিমা আক্তার কল্পনা (ঋণখেলাপী), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মোতালেব, মাসুদুর রহমান খোকন ও মো.নাজমুল হক।