English Version
আপডেট : ২০ নভেম্বর, ২০১৮ ১০:৫০
সূত্র:

একজন পলাতক আসামি স্বাক্ষাৎকার নেন কিভাবে : ফারুক খান

একজন পলাতক আসামি স্বাক্ষাৎকার নেন কিভাবে : ফারুক খান

একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি স্কাইপিতে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন বলে জানতে পেরেছি। কিন্তু এটি তিনি নিচ্ছেন কীভাবে। আদালত বলেছেন, একজন পলাতক আসামি হিসেবে তারেকের বক্তব্য কোথাও প্রচার হবে না। তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পদেও থাকতে পারবেন না বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান।

তিনি বলেন, স্কাইপিতে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তার সাক্ষাৎকার গ্রহণ এবং বক্তব্য প্রদান নির্বাচন আইনের লঙ্ঘন। এটি হতে পারে না। আশা করি, নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।

রোববার সন্ধ্যায় ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এসব অভিযোগ করেন তিনি।

এর আগে কর্নেল (অব.) ফারুক খানের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ অভিযোগসংবলিত লিখিত আবেদন হস্তান্তর করেন।

অভিযোগে তারা বলেন, তারেক রহমানের টেলিকনফারেন্সে দেয়া বক্তব্য ও সাক্ষাৎকার গ্রহণ নির্বাচনী আইন এবং সর্বোচ্চ আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশনার লঙ্ঘন। একই সঙ্গে তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার না করতে অনুরোধ জানান তারা।

ক্ষমতাসীন দলের এ প্রতিনিধি সন্ধ্যায় ইসিতে এসে তাদের অভিযোগ দাখিল করার আগে বিকালে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম তালুকদার এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেছিলেন- তারেকের বক্তব্য প্রদানের বিষয়টি কেউ প্রমাণসহ অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নেব। যদি কেউ তথ্যপ্রমাণসহ আমাদের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন, তা হলে আমরা আইনের মধ্য থেকে যদি কিছু থাকে, তা হলে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বলব।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে যদি আইনের ভেতর কিছু না থাকে, তা হলে আমরা নিজেরা কমিশন বসে কি করতে পারি, সেটি পর্যালোচনা করে দেখে তার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

কর্নেল (অব.) ফারুক খান সাংবাদিকদের বলেন, ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের আমরা দেখেছি- সুপ্রিমকোর্টে সারা দিন নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছেন। এটি আচরণবিধির লঙ্ঘন। এ লঙ্ঘন নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রয়াস। এটি চলতে থাকলে নির্বাচন আরও প্রশ্নবিদ্ধ হবে। এ বিষয়ে দ্রুত শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। আমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনও যথাযথ পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছে।

এ সময় কর্নেল ফারুক আরও বলেন, আদালতের নির্দেশনা সবাইকে মানতে বলা হয়েছে। তারেক রহমান এক-এগারোর সরকারের সময় থেকে লন্ডনে অবস্থান করছেন।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির এ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা আদালতের চোখে পলাতক। বর্তমানে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয়ে লন্ডনে অবস্থান করছেন।