English Version
আপডেট : ২ নভেম্বর, ২০১৮ ০৬:৪৩
সূত্র:

আলোচনা চলবে, আবারো বসা হতে পারে : ওবায়দুল কাদের

আলোচনা চলবে, আবারো বসা হতে পারে : ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আলোচনা আরো চলবে। ছোট পরিসরে আবারো বসা হতে পারে। ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে শীর্ষ নেতারা যখনই বসতে চাইবেন তখনই শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।

বৃহস্পতিবার রাতে গণভবনে বহু কাঙ্ক্ষিত সংলাপের পর ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, সংলাপে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) আধুনিক পদ্ধতি, আমরা একে সাপোর্ট করছি। তবে এবার ইভিএম হয়তো ইসি সীমিতভাবে ব্যবহার করবে। তিনি বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে সবাইকে আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন কমিশনই যথেষ্ট নিরপেক্ষ অনুষ্ঠানের জন্য। সব দায়িত্ব তাদের। তফসিলের পর দায়িত্ব ইসির ওপর ন্যস্ত হবে। নির্বাচন নিয়ে ভয়ের, শঙ্কার কারণ নেই। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পর্যবেক্ষকরা আসবেন এতে আমাদের আপত্তি নেই।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা রাজনৈতিক মামলার ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ড. কামাল হোসেন ও মির্জা আলমগীর সাহেবকে লক্ষ্য করে বলেছেন, যেসব মামলা মনে হয়েছে রাজনৈতিক মামলা তার একটা সংখ্যা পৌঁছে দেওয়ার জন্য।’

কাদের বলেন, চিঠির উত্তরে ছিল সংবিধানসম্মত সব বিষয়ে আলোচনা হবে। গণতন্ত্র এর ধারা অব্যাহত থাকবে। তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সংবিধানের বাইরে যেতে পারি না। কোনো গণতান্ত্রিক দেশে সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন হয় না।’

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের আশ্বস্ত করছি। সরকার হস্তক্ষেপ করবে না। তিনি সবার সহযোগিতা চেয়েছেন।’

 

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা আদালতের বিষয়। এ বিষয় সংলাপের মধ্যে আসতে পারে না। দুইটি মামলা কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে করা।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের বলেছেন, ‘এ মামলা আমি ক্লেইম করি নি। এটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। এটা তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।’

সেনাবাহিনী নিয়োগের বিষয়ের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ড. কামাল হোসেনকে বলেছেন, ‘আপনিতো নির্বাচন করেছেন। ২০০১ সালের নির্বাচন ছাড়া কোনো নির্বাচনে সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার ছিল না। তাহলে এখন কেন চান?’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আলোচনা সফল হয়েছে, ফলপ্রসূ হয়েছে। ওরা যখন চায়, আলোচনা করতে পারবে। গণভবনের দরজা খোলা আছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, আলোচনা আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে হয়েছে।

আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম বলেন, এখানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা নিয়ে কথা হয়েছে। এখানে সবগুলো দাবি আদালত সম্পর্কিত, নির্বাচন কমিশন সম্পর্কিত ও সংবিধান সম্পর্কিত। সংবিধানের বাইরে গিয়ে কিছু করার সুযোগ নেই এটা তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আদালত বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দিলে তিনি মুক্তি পাবেন।