English Version
আপডেট : ৩ জুলাই, ২০১৮ ১১:০৪

গোপালগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় যারা

অনলাইন ডেস্ক
গোপালগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় যারা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গোপালগঞ্জ-১ (মুকসুদপুর-কাশিয়ানীর একাংশ) আসনে পুরোদমে বইছে নির্বাচনী হওয়া। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান গোপালগঞ্জ জেলার এ আসনটি আওয়ামী লীগের দুর্ভেদ্য ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। গোপালগঞ্জ-১ আসনে নির্বাচনী পরিবেশ বিরাজ করছে। হাট বাজার আর রাস্তাঘাট ছেয়ে গেছে বিভিন্ন রং বেরংয়ের পোস্টার ব্যানার আর ফেস্টুনে।

মুকসুদপুর উপজেলার একটি পৌরসভা, ১৬টি ইউনিয়ন ও কাশিয়ানী উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত গোপালগঞ্জ সংসদীয় আসন-১। এর মধ্যে মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ২ শত ৮২ জন ও পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ৫৩ জন।

দলীয় মনোনয়ন পেতে সব দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা লবিং গ্রুপিং প্রচার-প্রচারণায় নেমে পড়েছেন। এ আসনে স্বাধীনতা পরবর্তী প্রায় সব নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা। ১৯৯৬ সাল থেকে এ আসনে প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লেঃ কর্ণেল (অব) মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি। এখানে প্রকাশ্যে দলীয় কোনো কোন্দল নেই।

খোদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা এ আসন থেকে নির্বাচন করতে পারেন, এমন ধারণা নেতাকর্মীদের। এ আসনের বর্তমান এমপি লেঃ কর্ণেল (অবঃ) মুহাম্মদ ফারুক খানকে ঢাকার একটি আসনে প্রার্থী করা হতে পারে বলেও গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। শেখ রেহানা নির্বাচন না করলে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য মুকুল বোসের এ আসন থেকে মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে জানা গেছে।

এ আসনে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা, বর্তমান এমপি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লেঃ কর্নেল (অবঃ) মুহাম্মদ ফারুক খান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য মুকসুদপুরের কৃতী সন্তান মুকুল বোস, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি অ্যাড. উম্মে রাজিয়া কাজল, এ আসন থেকে তিনবার নির্বাচিত সাবেক এমপি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও জেলা পরিষদের প্রশাসক মরহুম অ্যাড. কাজী আব্দুর রশীদের ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আইটি বিশেষজ্ঞ কাজী হারুন অর রশীদ মিরন, আব্দুর সেরনিয়াবাতের দৌহিত্র ও গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মরহুম মোহাম্মদ আলী খান আবু মিয়ার ছোট ভাইয়ের ছেলে ব্যারিষ্টার আলী আসিফ খান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আরিফা রহমান রুমা, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শিল্পপতি শেখ আতিয়ার রহমান দিপু, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক তরুণ উদ্যোক্তা কে.এম মাসুদুর রহমান মাসুদ ও মুকসুদপুর উপজেলার গোহলা ইউনিয়নের পশ্চিম নওখণ্ডা গ্রামের ব্যবসায়ী শেখ ফরিদ ইকরাম।